সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের গ্রামে শোকের ছায়া

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কেশবপুরের চারজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে মক্কা থেকে রিয়াদে ফেরার পথে শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টার দিকে আল খাচরা নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, কেশবপুর পৌরসভার ভোগতী গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্বাস আলী (৪২), তার স্ত্রী রেহেনা আক্তার (৩০), প্রতিবেশী চাচাতো বোন এবং ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শেখপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী বেগম ও তার (নিহত শিউলী) ছেলে ওমর আল সায়েম।

এ ঘটনায় নিহত আব্বাস আলীর মেয়ে আফসা আফরিন প্রীতি (৭) ও নিহত শিউলীর স্বামী সাইফুল ইসলাম (৪৮)সহ গুরুতর আহত তিনজনকে আল গুয়াইয়া হাসপাতালের আইসিউতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, কেশবপুর পৌরসভার একই গ্রামের চারজনের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত আব্বাসের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেশীরা বলেন, আব্বাস খুব ভালো ছেলে। আব্বাস ছোটবেলায় তার বাবাকে হারিয়ে খুব সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন সৌদিতে প্রবাসী জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী ও মেয়েকেও সৌদি নিয়ে গেছেন। বর্তমানে শুধুমাত্র তার মা বাড়িতে থাকেন। আর স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে আয়ার চাকরি করেন।

প্রতিবেশীরা আরো বলেন, একমাত্র ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আব্বাসের মা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এবং শেষবারের মতো মরা ছেলের মুখ দেখার জন্য সহযোগিতা পেতে নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, নিহতদের পরিবারের তেমন কোনো লোকজন নেই। ফলে তাদের মৃতদেহ আনতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার ভোগতি গ্রামের মৃত বাসতুল্য সরদারের ছেলে আব্বাস আলী প্রায় ১৮ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে সৌদী আরবে যান। পরে সেখানকার রিয়াদ শহরে হাউজ পেন কোম্পানির ড্রাইভার হিসেবে চাকরি নেন।

নিহত আব্বাস আলী গত ৮-১০ মাসে তার স্ত্রী ও কন্যাকে সৌদি নিয়ে যান। এছাড়াও একই গ্রামের মেয়ে-জামাই ও ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শেখপাড়ার সাইফুল ইসলাম প্রায় দেড় যুগ ধরে সৌদি আরবের একটি রং কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার স্ত্রী ও ছেলেকে সৌদি নিয়ে যান।



মন্তব্য চালু নেই