সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেবে বাংলাদেশ

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে নব গঠিত ‘ইসলামিক সামরিক জোটে’ যোগ দেবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সরকারের এই অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে।

আইএস’র মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘ইসলামিক সামরিক জোট’ গঠন করেছে সৌদি আরব। ওই জোটে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে দেশটি। সৌদি রাজধানী রিয়াদে জোটের সদর দপ্তর স্থাপন করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহসেদ আল জুবায়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে জোটে যোগ দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। আর এই নীতির আলোকে বাংলাদেশ অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে এই সামরিক জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে বলা হয়, জোট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে। সন্ত্রাস দমনে সদস্য দেশগুলো তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। এছাড়া, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সামরিক সরঞ্জাম, তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করা হবে সদস্য দেশগুলোকে।

প্যারিস ও যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর সৌদির নেতৃত্বে এই জোটের ঘোষণা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

টেলিভিশনে প্রচারিত এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট গঠনে সম্মত হয়েছে এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় ৩৪টি দেশ।’

নতুন জোটের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, তুরস্ক, চাদ, টোগো, তিউনেশিয়া, জিবুতি, সেনেগাল, সুদান, সিয়েরালিয়ন, সোমালিয়া, গেবন, কগেনিয়া, ফিলিস্তিন, কমোরোস, কাতার, আইভরি কোস্ট, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মালয়েশিয়া, মিশর, মরক্কো, মৌরতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া ও ইয়েমেন। এ জোটের সদর দপ্তর হবে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে।



মন্তব্য চালু নেই