সৌম্য-জহুরুলের ব্যাটে রংপুরের জয়

বিপিএলের তৃতীয় আসরে প্রথম ফিফটি পেয়েছেন সৌম্য সরকার। ব্যাট হেসেছে জহুরুল ইসলাম অমিরও। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে রংপুর রাইডার্স।

তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। ষষ্ঠ ম্যাচে রংপুরের এটা চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠেছে তারা। সমান ম্যাচে চিটাগংয়ের এটা পঞ্চম পরাজয়, রয়েছে তালিকার তলানিতে। রংপুরের কাছে দুই ম্যাচেই হারল তারা।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১১১ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে এক উইকেট হারিয়ে ১৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর।

১১২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো বেগই পেতে হয়নি রংপুরকে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য ও জহুরুল ৯৩ বলে ১০২ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান।

জহুরুল ৪৭ রান করে ফিরে গেলেও আসরে প্রথমবারের মতো ফিফটি তুলে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। ৫৬ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি। অধিনায়ক সাকিব অপরাজিত ছিলেন ১ রানে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো করলেও শেষটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ রান সংগ্রহ করেন তামিম ও দিলশান। এরপর আউট হয়ে ফিরে যান দিলশান (১৮)। তামিমের সঙ্গে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন কামরান আকমল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। দলীয় ৫৬ রানে আরাফাত সানীর বলে বোল্ড হয়ে যান আকমল (১২)।

এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে স্বাগতিক দর্শকরা ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখলেও সেটা সত্যি হয়নি। ৮০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফিরে যান তিনিও। এরপর ৮৩ রানে তামিম, ৮৪ রানে উমর আকমল, ৯২ রানে জিয়াউর রহমান, ৯৬ রানে মোহাম্মদ আমির ও ১১১ রানে শফিউল ইসলামের আউটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় চিটাগংয়ের ইনিংস।

বল হাতে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও আরাফাত সানী ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী, থিসারা পেরেরা ও সাকলায়েন সজীব।

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এ ম্যাচে ফেরেন রংপুর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আর তার ফেরার ম্যাচে রংপুরও জয়ে ফিরল। অন্যদিকে তামিমের চিটাগং ঢাকা-পর্বের পর চট্টগ্রামেও ব্যর্থতার চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছে, ঘরের মাঠে দুই ম্যাচেই হারল।



মন্তব্য চালু নেই