স্কুলে যেতে নিষেধ করায় বাবা-মাকে থানায় নিয়ে গেল দুই ভাই

স্কুলের পাঠে ইতি টেনে চায়ের দোকানে কাজ শুরু। বাবা-মা’র এমন প্রস্তাব মানতে পারেনি ভারতের গুজরাটের বাপুলাপারু গ্রামের দুই স্কুল পড়ুয়া ভাই।

পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হয় দুই ভাই। কোনোমতেই তাদের পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

পড়াশোনা বন্ধ করতে চাওয়ায় নিজেদের বাবা-মা’কেই টানতে টানতে থানায় নিয়ে যায় গুজরাতের দুই বালক। ১১ বছরের বড় ভাইয়ের নাম শানু আর ৯ বছরের ছোট ভাইয়ের নাম সিদ্দিকি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের বাবা মোহাম্মদ আক্রাম পেশায় অটোচালক। কিন্তু জুয়ার নেশা থাকায় টাকা-পয়সার অভাব তার নিত্যদিনের সঙ্গী। নিজের ছেলেদের স্কুলের খরচ কখনই দেয়নি আক্রাম।

তার স্ত্রী শর্মিলার বাবা-মা’ই দুই নাতিকে নিজেদের খরচে স্কুলে পাঠায়। কিন্তু সম্প্রতি তাতেও বাধ সাদে আক্রাম। নেশার টাকা জোগাতে নিজের দুই শিশুপুত্রকেও পড়াশোনা ছাড়িয়ে কাজে লাগানোর কথা বলেন তিনি।

পাড়ার দোকানে ছেলেদের কাজের কথা পাকাও করে ফেলেন তিনি। বুধবার বাবার প্রস্তাবে আপত্তি জানায় দুই ভাই। আক্রাম-শর্মিলা দু’জনে মিলেই তাদের মারধর করে।

এরপরই দাদু-দাদির সাহায্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা থানায় হাজির হয় তারা। স্থানীয় ভিরাবল থানার ইন্সপেক্টর মূরালী কৃষ্ণ জানিয়েছেন যে, দুই ভাইকে আপাতত রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর পরিচালিত হোমে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেই তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই