স্কুল কেবিনেট নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তারক্তি!

শিশুদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা আর অন্যের মতের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের শিক্ষা দিতেই স্কুল কেবিনেট নির্বাচনের সংস্কৃতি চালু করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবচিত্র উল্টো। এখানেও শিক্ষার্থীদের কচি মনে ঢুকে গেছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। আর এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো কুষ্টিয়ায়। কেবিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত করেছে এক শিক্ষার্থী!

সোমবার দুপুরে স্কুল কেবিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে।

আহত ছাত্রের নাম শান্ত হোসেন (১৪)। সে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ও নবনির্বাচিত কেবিনেট মেম্বার ও ভেড়ামারা শহরের ফারাকপুর গ্রামের মাহাবুব আলীর ছেলে।

তাকে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।

অভিযুক্ত ছাত্রের নাম রাকিন হোসেন (১৫)। সে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র ও শহরের কাঠেরপুল মঠপাড়া গ্রামের রুহুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুল কেবিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশি কিছুদিন ধরে রাকিন ও শান্তর মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছিল। সোমবার কেবিনেট নির্বাচনে ৮ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এতে শান্তও নির্বাচিত হলে রাকিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে দুপুর ২টার দিকে টিফিনের বিরতির সময় স্কুল চত্বরেই শান্তকে সে হুমকি দেয়। এতে দুজনের মধ্যে তর্ক বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে রাকিন পকেট থেকে ধারালো চাকু বের করে শান্তর পেটে ঢুকিয়ে দেয়। সাথে সাথে সে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

শিক্ষকরা শান্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

অভিযোগ রয়েছে, ছুরিকাঘাতকারী রাকিন স্কুলে অনিয়মিত ছাত্র। তাকে এ পর্যন্ত তিনবার স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিভাবকরা চূড়ান্ত সুযোগ দেয়ার জন্য আকুতি জানালে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করে।

ভেড়ামারা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার জানান, রাকিন নামের ছাত্র শান্তকে কী কারণে ছুরিকাঘাত করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরি করা হয়েছে। রাকিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছার পরে অপরাধী রাকিনকে পাওয়া যায়নি। সে পালিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই