স্ত্রীর মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে অসহায় ভ্যানচালকের সংবাদ সম্মেলন

কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামের অজিয়ার মোড়লের পুত্র ভ্যানচালক মো: শাহীন তার স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এখন দিশোহারা হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় উল্টো মামলা করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জনার্কিন এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভ্যানচালক শাহীন বলেন, গত তিন বছর আগে আমার প্রথম ন্ত্রী মারা যায়। এর তিন মাস পর আমি দুটি সন্তানকে লালন পালন করতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলাম মোড়লের স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা আমবিয়া খাতুনকে বিয়ে করি। আমার ২য় স্ত্রী অসৎ প্রকৃতির হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে কারণে অকারণে ঝগড়া ও দুর্ব্যবহার করতো। আমার শাশুড়ী গত বছর আকে জমি কেনার কথা বলে আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা ধার চায়। আমার স্ত্রীর চাপে আমি টাকাটা শাশুড়ীকে ধার দেই। এরপর সে আমার সাথে দুর্ব্যবহার আরো বাড়িয়ে দেয়। গত ২ মাস আগে আমার বাড়ীতে রাখা গরু বিক্রির ৭০ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ টাকার সোনার গোহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোজাখুজি করে স্ত্রীকে না পেয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। তিনদিন নিরুদ্দেশ থাকার পর সে তার বাপের বাড়ীতে যায়। খবর পেয়ে আমি ও এলাকার গন্যমান্য লোকজন নিয়ে তাকে বাড়ীতে আনার জন্য চেষ্টা করলে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। আমি স্ত্রীকে ফেরৎ পাওয়ার জন্য আদালতের আশ্রয় নেই।
এদিকে ২য় স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ২৪৬/১৫ নং মামলা করে। ভোমার ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম এ মামলার তদন্তভার পেয়ে আমাকে নোটিশ করে।
শাহীন সংবাদ সম্মেলনে কান্না জনিত কণ্ঠে জানান, আমি গরীব অসহায় একজন ভ্যানচালক। আমার এলাকার লোকজন নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে গেলে তারা আমাদের অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। একই সাথে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আসাদুল ইসলাম তাদের পক্ষে একতরফা রায় দেন।
এব্যাপারে ষড়যন্ত্রের শিকার শাহিন তার স্ত্রীর মিথ্যা মমলা থেকে রক্ষ পেতে নিরপেক্ষ পূন: তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে কাছে জোর দাবী জানান।



মন্তব্য চালু নেই