স্ত্রীর সঙ্গে ছবি প্রকাশ করা কি অপরাধ : শাওন

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মামলায় গ্রেপ্তার শাহরিয়ার ইসলাম শাওন লিখিতভাবে আদালতকে বলেছেন, শারমিন আক্তার নীপা (মাহিয়া মাহি) তার স্ত্রী। স্ত্রীর সঙ্গে ছবি প্রকাশ করা কি অপরাধ?

তিনি বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে; যা কোনো মানহানিকর, অশ্লীল ও উসকানিমূলক নয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের অপরাধের আওতায় এটি আসে না।

শাহরিয়ার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বরং মাহি বিয়ের কথা গোপন করে আবার বিয়ে করেছে— যা দণ্ডবিধির অপরাধ।

২৭ মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মাহিয়া মাহি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় শাহরিয়ারকে বন্ধু বলে উল্লেখ করেন মাহি।

পরে পুলিশ শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করে দুদিনের রিমান্ডে নেয়। আজ মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে শাহরিয়ার ইসলামকে আদালতে আনা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

মামলায় মাহি উল্লেখ করেছেন, ২৭ মে তার বন্ধু শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার কিছু ছবি কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে শাহরিয়ার ছাড়া তার কয়েকজন বন্ধুও জড়িত থাকতে পারে।

তিনি বলেন, বিয়ে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এসব ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ২৫ মে তার বিয়ে হয়েছে। এ অবস্থায় দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট ও তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে তারা এসব করছেন।

শাহরিয়ার ছাড়া তার বন্ধু হাসান, আলামিন, খাদেমুল ও শাহরিয়ারের খালাতো ভাই রেজওয়ান জড়িত বলে মাহি ধারণা করছেন।

আজ শাহরিয়ারের আইনজীবী বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শাহরিয়ারের বিয়ে করা স্ত্রী মাহিয়া মাহি। গত বছরের ১৫ মে তাদের বিয়ে হয়। আদালতে বিয়ের কাবিননামাসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ জমা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শাহরিয়ার কোনো অপরাধ করেননি। অপরাধ করেছে মাহি।

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার পর শাহরিয়ারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলে পুলিশ। ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আরো সাতদিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়।

তবে শাহরিয়ারের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদনই নাকচ করে দেন।

শাহরিয়ারের আইনজীবী বিয়ের একটা কাবিননামা আদারতে জমা দিয়েছে। কাবিননামায় উল্লেখ রয়েছে, গত বছরের ১৫ মে মাহির সঙ্গে শাহরিয়ারের বিয়ে হয়।

দেনমোহর ধরা হয় ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বিয়ে পড়ান আবুল কাশেম।

কাবিননামায় বলা হয়েছে, শাহরিয়ারের সঙ্গে বিয়ের আগে মাহির আর কোনো বিয়ে হয়নি। মাহির বন্ধু শাহরিয়ার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র বলে আদালতে সেই কাগজপত্র দেয়া হয়েছে।

শাহরিয়ারের আইনজীবী আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন, গত ২৫ মে আগের বিয়ের কথা গোপন করে বাদী সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মোহাম্মদ অপুকে বিয়ে করেন— যা দণ্ডবিধির ৪৯৫ ধারার অপরাধ। মামলায় বিয়ের কথাও উল্লেখ করেনি তিনি।

আদালতকে তিনি বলেন, শাহরিয়ারের সঙ্গে মাহির বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কোনো অপরাধ নয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের অপরাধের আওতায় আসে না।



মন্তব্য চালু নেই