স্বজনদের ‘নিখোঁজ’ রুমাকে নিয়ে যেতে বললো ডিবি

গুলশান হামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে নরসিংদীর রুমা আক্তারকে আটকের কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। তবে নিখোঁজের এতদিন পর তাকে নিয়ে যেতে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে স্বজনদের ফোন করা হয়েছে। রুমা আক্তারের বোন সাবিনা আক্তার রবিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। সাবিনা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, যে বাড়ি থেকে আমার বোনকে আটক করা হয়েছিল ওই বাড়িতে ডিবি পরিচয়ে ফোন করে বলা হয়েছে রুমাকে ছেড়ে দেয়া হবে। অভিভাবক এসে যেন তাকে নিয়ে যায়। আমার স্বামী এ ব্যাপারে ডিবি অফিসে কথা বলেছেন। তাকে রাতেই যেতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি ঢাকার বাইরে থাকায় আগামীকাল (সোমবার) সকালে ডিবি অফিসে যাবেন বলে ঠিক হয়েছে।খবর ঢাকাটাইমসের।

গুলশান হামলার সময় ওই এলাকায় রহস্যজনক ঘোরাঘুরির অভিযোগ এনে গত ২৩ জুলাই নরসিংদীর শিবপুর থেকে রুমা আক্তারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ স্বজনদের। শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমাম হোসেন গণমাধ্যমকে একাধিকবার বলেছেন, ঢাকা থেকে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রুমা আক্তারকে নিয়ে গেছেন, এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই তথ্য অস্বীকার করা হয়।

এ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন রবিবার রাতে বলেন, ‘রুমা আক্তারের আটকের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ পরে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।

গুলশানের জঙ্গি হামলার পরে সেখান থেকে আটক করা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিম ও কানাডার প্রবাসী তাহমিদ হাসিব খানকে। প্রথম থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। তবে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন হাসনাত করিম তাদের হেফাজতেই রয়েছেন। সম্প্রতি হাসনাত করিম ও তাহমিদ হাসিব খানকে গ্রেপ্তার দেখায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একটি দল। পরে তাদের আট দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

কোনো ব্যক্তিকে আটক করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করতে হবে এবং পছন্দের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে বলে আইনে বলা হয়েছে। তবে কোন আইনে রুমা আক্তারকে এতদিন আটকে রাখা হলো জানতে চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই