স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি: ‘বাঁশখালীতে কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর ব্যবস্থা’

বাঁশখালীতে কাফনের কাপড় পরে উপজেলা ঘেরাও করার নামে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নবনির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধন করতে এসে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় শুক্রবার এলাকাবাসীর সমাবেশ থেকে গন্ডামারা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁশখালী থেকে সরানোর আলটিমেটাম দেন। তা নাহলে রোববার সকালে কাপনের কাপড় পরে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও করার কর্মসূচি দেন।

বিকেলে স্বরাষ্টমন্ত্রী পৌরসভার ফায়ার ব্রিগেড চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন এ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধন করেন।

মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে সমস্যা নেই। কিন্তু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না।

বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সম্প্রতি পরিস্থিতি বিষয়ে বলেন, বাঁশখালীর এ আন্দোলনের পিছনে কারো ব্যক্তিস্বার্থ রয়েছে কি না বা কাদের প্ররোচনায় এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সম্প্রতি সময়ের আলোচিত দুটি হত্যার সাথে কারা জড়িত- এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থার প্রতি সরকারের আস্থা রয়েছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাসদ নেতা মাঈনুদ্দিন খান বাদলের সরোয়ালি গ্রামের বাড়িতে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাঈনুদ্দিন খান বাদল, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এহসানুল হায়দার বাবুল, দক্ষিণ জেলা জাসদ নেতা আব্দুল কাদের সুজন, বোয়ালখালী উপজেলা জাসদ সভাপতি মনসপ আলী, সাধারণ সম্পাদক মনিরুদ্দিন খান, জেলা পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার প্রমুখ।

বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই