স্বর্ণের তৈরি গাড়ি বহরে সৌদি তরুণের ফূর্তি!

এই তো কিছুদিন আগেই খবর বেরিয়েছিল মাত্র দুই কেজি চাউলের বিনিময়ে নিজের সন্তানকেও দিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন এক সিরিয় মা! এ ছাড়া এক টুকরো শুকনো রুটি পুরো পরিবার ভাগাভাগি করে খাচ্ছিলেন। আবার যুদ্ধে পরিবারের সবাইকে পঙ্গু বাবাকে বাঁচাতে ৬ বছরের এক শিশু পথে পথে আর্তনাদ করছিলেন।

এমন আরও অনেক দৃশ্যই দেখা যায় সিরিয়া ও লিবিয়া সহ বিশ্বের বহু দেশে। শুধু তাই নয়, না খেতে পেয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। এমনকি শরণার্থী শিবিরে অর্ধাহার অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেকেই। যা দেখে ও শোনে অতি সীমারের চোখ না হলেও অন্তর ঠিকই কেঁদে উঠে।

অথচ এমন যখন অবস্থা বিশ্বে, আর মানবতার আহ্বান জানিয়ে যখন পিরিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছিলো, তখন খবর প্রকাশ হয়েছিলো কোন এক পিতার তার মেয়ের বিয়েতে স্বর্ণের বাথরুম করে দিয়েছেন। আবার একদিনের জন্য কোন এক রাজকন্যার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিলো টয়লেট! যা সত্যি বিচিত্র এক সেলুকাস।

এদিকে এবার নতুন করে খবর সৃষ্টি করলেন সৌদি আরবের এক তরুণ ধনকুবের। যে বর্তমানে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন স্বর্ণ খচিত গাড়ির বহর নিয়ে ব্রিটেনে ঘুরতে যেয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে মানুষ না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন, সেখানে সৌদির ওই তরুণ ধনকুবের কি করে পারেন স্বর্ণে দিয়ে তৈরি গাড়ি করে ভিন্ন এক দেশ ভ্রমণ করতে? সেও আবার একটি নয়, একাধিক স্বর্ণ খচিত গাড়ি নিয়েই ওই ধনকুবের ছেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন ব্রিটেনের পথে পথে।

জানা গেছে, সৌদি আরবের ওই ধনকুবের তরুণ স্বর্ণের গাড়িবহর নিয়ে ব্রিটেন সফর করতে গেছেন। একাধিক বন্ধুকে নিয়ে তিনি লন্ডন সফরে গিয়ে এসব গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার প্রতিটি গাড়িই স্বর্ণখচিত।

তার গাড়িবহরে রয়েছে ছয় চাকা বিশিষ্ট মার্সিডিজ জি৬৩ এএমজি৬এক্স৬ যা বালুর মধ্য দিয়ে অনায়াসে চলতে পারে। তার বহরে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত দু-দরজার রোলস-রয়স ফ্যান্টম ক্যু। যার গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার।



মন্তব্য চালু নেই