স্বাক্ষর জাল : তারানার পিও’র বিরেুদ্ধে তদন্ত শুরু

স্বাক্ষর জালের অভিযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিও) থেকে অব্যহতি পাওয়া জি.এম. আসিফ আল মামুন অভির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি এ তদন্ত শুরু করছে। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি টেলিকমিউনিকেশন মডার্নাইজেশন প্রকল্প নামে বিটিসিএলের অধীনে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পে বিনিয়োগের শর্তসহ বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে বিনা দরপত্রে এ প্রকল্পের জন্য চীনা কোম্পানি জেডটিইর সঙ্গে এককভাবে চুক্তির জন্য বিটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী একটি প্রস্তাব তৈরি করেন। এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থাতেই প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠান তার পিও আসিফ আল মামুন অভি।

জালিয়াতি করে অর্থ বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি না করে সীমিত আকারে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করুন।

এ চিঠি পাওয়ার পর বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। চিঠি পেয়ে অর্থ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও বিস্মিত হন। যেখানে ঋণ চুক্তির শর্ত হচ্ছে, ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে হবে, সেখানে এ ধরনের চিঠির অর্থ কী?

বিষয়টি নিয়ে অর্থ বিভাগে বিস্তর আলোচনার পর তারানা হালিমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা। তখনই জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

উল্লেখ্য, ঘটনার সময় তারানা হালিম দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে ফিরে প্রতিমন্ত্রী যখন বুঝলেন তার স্বাক্ষর জাল করে ‘প্রতারণা’ করা হচ্ছে, তখনই তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।



মন্তব্য চালু নেই