স্বামীর বন্ধুদের হাতে গণধর্ষণ! দু’বছর চুপ করে থাকার পরে একি করল ধর্ষিতা…

প্রত্যেকেই স্বামীর বন্ধু। কিন্তু তাদের হাতেই এমন নৃশংস অত্যাচারের শিকার হতে হবে, তা ভাবতেও পারেননি তিরুঅনন্তপুরমের এই গৃহবধূ। শেষ পর্যন্ত ধর্ষিত হওয়ার দু’বছর পরে গোটা ঘটনার কথা উঠে এল ফেসবুকে। বিষয়টি নিয়ে এতটাই হইচই পড়ে গিয়েছে যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরও এই ধর্ষণকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে।

কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা ওই গৃহবধূকে দু’বছর আগে চার ব্যক্তি গণধর্ষণ করেছিল। তাদের মধ্যে এক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাও ছিল। এরা প্রত্যেকেই ওই মহিলার স্বামীর বন্ধু। ঘটনার পরে দুই সন্তানের মা ওই গৃহবধূ এতটাই আতঙ্কিত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে প্রথমে নিজের স্বামীকেও ঘটনার কথা জানাতে পারেননি। কিছুদিন পরে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই নির্যাতিতা। অভিযোগ, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ তো নেয়ইনি, উল্টে এমন কিছু প্রশ্ন ওই মহিলাকে করে যাতে তাঁর মানসিক যন্ত্রণা আরও বে়ড়ে গিয়েছিল।

সপ্তাহ তিনেক আগে নিজের স্বামীকে নিয়ে কেরলের বিখ্যাত ডাবিং শিল্পী ভাগ্যলক্ষ্মীর দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা। গোটা ঘটনা শোনার পরে নির্যাতিতাকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সাহস জোগান ভাগ্যলক্ষ্মী। এর পরে নির্যাতিতার সম্মতি নিয়ে তাঁর নাম গোপন রেখে গোটা ঘটনা ফেসবুকে জানান ভাগ্যলক্ষ্মী। এর পরেই শোরগোল পড়ে যায়। সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতর থেকে ভাগ্যলক্ষ্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। ভাগ্যলক্ষ্মী জানিয়েছেন, এই ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে আরও তথ্য খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে আনা হবে।

ভাগ্যলক্ষ্মীর দাবি, ওই মহিলা এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে তাঁর একসময়ে মনে হতো নির্ভয়ার মতো নির্যাতিতারা মারা গিয়ে মানসিক নির্যাতনের থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ভাগ্যলক্ষ্মীর কথায়, যে মহিলারা এই ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, চুপ করে বসে না থেকে তাঁদের আরও সাহসী হতে হবে। ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে না ভেবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ্যে আনতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই