স্বামীর হাত-পা বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ !

আশ্রয় দেয়ার নাম করে স্বামীর হাত-পা বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। অন্যদিকে বন্ধুরা মিলে ১৯ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে।-আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থেকে রতুয়ার দুর্গাপুরে বাপের বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে যাচ্ছিলেন এক মহিলা।

তারা যখন রতুয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে তখন গভীর রাত। রাস্তায় কোনো গাড়ি না থাকায় বাসস্ট্যান্ডেই তারা অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় নুর আলম নামে এক ব্যক্তি এসে রাতটুকু তার বাড়িতে কাটানোর প্রস্তাব দেন তাদের।

নির্যাতিতার স্বামী জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাদের এসে বলেন, তার বাড়িতে মা আছেন, পরিবার রয়েছে। ৫শ’ টাকা দিলে রাতটুকু তার বাড়িতেই কাটাতে পারেন তারা।

কিন্তু রাতটুকু আশ্রয় দেয়ার নাম করে কী পৈশাচিক কাণ্ড ঘটাতে চলেছেন ওই ব্যক্তি তা ঘূণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি তারা। তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নুর আলম নির্যাতিতার স্বামীর হাত-পা বেঁধে রেখে, তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

বুধবার সকালে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার কেরলে ফের ধর্ষণের শিকার হলেন এক তরুণী। ১৯ বছরের এক নার্সিংয়ের ছাত্রীকে অটোতে তুলে গণধর্ষণ করল তারই দুই পরিচিত। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তরুণীর বন্ধু।

পুলিশকে নির্যাতিতা জানান, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে জোরজবরদস্তি অটোতে তোলে সাইজু নামে ওই বন্ধু। অটোটি সাইজুরই।

অটোতে ২৫ বছরের সুজিথ নামে আরও এক যুবক ছিল। মুখ চেপে ধরে গণধর্ষণ করা হয় তাকে।

এই ঘটনার দিন পাঁচেক আগেই কেরলের পেরুম্বাভুরে ৩০ বছরের এক দলিত তরুণীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার অন্ত্র বাইরে বের করে আনা হয়েছিল অনেকটা নির্ভয়ার মতো।

সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। ধর্ষণ এবং খুনে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এরই মধ্যে ফের ধর্ষণের ঘটনায় বিপাকে পড়েছে কেরল সরকার।



মন্তব্য চালু নেই