স্যামুয়েলসের ব্যাটে কুমিল্লার জয়

শেষ মুহূর্তের টানা জয়ে ভক্তদের আফসোসটা যেন ক্রমেই বাড়িয়ে দিচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলে শেষ তিনটি ম্যাচে টানা জয় পেয়েছে দলটি।

সবশেষ আজ খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে স্যামুয়েলসের দারুণ ব্যাটিয়ে জিতল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। শুরুতে ব্যাটিয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে খুলনা। জবাবে ব্যাটিয়ে নেমে ৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে কুমিল্লা।

আজকের ম্যাচে জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি হয়েছে কুমিল্লার। বিপিএলের শুরুর ম্যাচগুলোতে হারের ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে জায়গা করে নিয়েছিল দলটি। খুলনার বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ে বরিশালকে সপ্তম স্থানে ঠেলে দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে তারা। ১১ ম্যাচ শেষে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট জমা হয়েছে তাদের ভান্ডারে। তবে সম্প্রতি জিতলেও বাকি ম্যাচগুলো কেবল খেলার জন্যই খেলতে হবে হবে তাদের!

মিরপুরে টস হেরে প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে নিধার্রিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করেছিল খুলনা টাইটান্স। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মারলন স্যামুয়েলসের অসাধারন ব্যাটিয়ে ভর করে ৫ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা।

জয়ের জন্য ১৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা আজ দারুণ হয়েছে কুমিল্লার। দলীয় ১ রানের মাথায় ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খায় দলটি। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান ইমরুল কায়েস ও মারলন স্যামুয়েলস।

ব্যক্তিগত ২০ রানের ইমরুল সাজঘরে ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন স্যামুয়েলস। ৫৭ বল মোকাবেলায় ৮ চারের সাহায্যে ৬৯ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মাঝপথে ব্যাট হাতে কিছুটা ঝড় তুলেন মাশরাফিও। ১১ বল থেকে ৩ ছক্কায় ২০ রান করেন কুমিল্লার অধিনায়ক। আর শেষদিকে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।

খুলনার হয়ে বেনি হোয়েল ২টি উইকেট নেন। আর একটি করে উইকেট পান জুনায়েদ, মোশারফ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।

এরআগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। ৩৮ বল মোকাবেলা করে ৪টি চারে এ ইনিংস নিয়ে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়া হাসানুজ্জামান ২৯, আবদুল মজিদ ১৮, আরিফুল হক ১৩ ও নিকোলাস পুরান ১৪ রানে আউট হন।

কুমিল্লার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অধিনায়ক মাশরাফি। একটি করে উইকেট নেন রাশিদ খান, মোহাম্মদ শরীফ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন।



মন্তব্য চালু নেই