উপজেলার সাথে ২০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

স্রোতে ভেসে গেছে রামডাকুয়া ব্রিজ

একটানা অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের রামডাকুয়া মহল্লার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত রামডাকুয়া ব্রীজটি শুক্রবার দিবাগত রাতে ভেসে গেছে। স্রোতে ব্রিজটির পূর্ব পার্শ্বের কমপক্ষে ১০ হাত ধ্বসে উপজেলা শহরের সাথে তিস্তার চরাঞ্চলের ২০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পুর্ণ রুপে বন্ধ হয়ে গেছে।

একমাত্র নৌকা ছাড়া উপজেলা শহরের সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগের আর কোন ব্যবস্থা নেই। শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র রামডাকুয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সাবেক এমপি কর্ণেল আব্দুল কাদের খান ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইস্টিমিট প্লান ছাড়াই অপরিকল্পিত ভাবে দেড় বছর পূর্বে ব্রিজটি নির্মাণ করেন। গত বছর বন্যায় ব্রিজের পূর্বে পার্শ্বে ফাটল দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ দেখে ও না দেখার ভান করেছিলেন। টানা বর্ষণে শুক্রবার রাতে ব্রিজটি ধ্বসে যায়।

এদিকে নিচু এলাকা পবিত হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল দুরহ্ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। শতাধিক পুকুরের পাড় উপছে পোনা মাছ বের হয়ে যাচ্ছে। নিচু এলাকায় তোষা পাটসহ নানা প্রজাতের ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বুধবার দিবাগত রাত হতে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় টানা অবিরাম বর্ষণে উপাজেলার নদী-নালা, খাল- বিল, পুকুর-ডোবা ও নিচু জলাশয় সমুহ প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

পানির তোড়ে কাচা রাস্তা সমুহ ধ্বসে গেছে। যার কারণে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুন্দরগঞ্জ- হরিপুর পানি উন্নয়ন বাধটি দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদী পানি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।

একারণে উজানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজামখাঁ, খোঁদ্দাচর, চরচরিতাবাড়ি, কানিচরিতাবাড়ি, রিয়াজ মিয়ারচর, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, কেরানির চর, কালাইসোতার চর, চরবিরহীম, ভোরের পাখি, কালিরখামার চর এলাকায় মৃদু ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পৌর শহরে ড্রানেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টিপ হওয়ায় বিভিন্ন পাড়ার সাধারণ জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

পৌর সভার কলেজপাড়া, দাসপাড়া, রামডাকুয়া ও কবরস্থানপাড়া, মীরগঞ্জ হাট, সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় ছোট-খাট সড়ক গুলোতে সামান্য বৃষ্টি বাদল হলেই হাটু পানি জমে থাকে। যে কারণে স্কুল-কলেজগামি শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন।

পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এমতাবস্থায় ব্রিজটি সংস্কার এমনকি বিকল্প কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার মতো কোন পরিকল্পনা নেই। আপাতত নৌকা যোগে পারাপার করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই মিলটন জানান, বিষয়টি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে। দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই