স্লিম হতে হলে ঝাল খান !

স্লিম হতে চান? অতিরিক্ত ঝাল খান। ‘ক্যাপসিসিন’ নামক উপাদানের কারণে অতিরিক্ত ঝাল হয়। আর এই একই উপাদান আপনার মেটাবলিজমের গতি বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সহজে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ মাত্রায় চর্বিজাতীয় খাবারের অভ্যাস থাকার পরেও ক্যাপসিসিন খাওয়ানোর ফলে অতিরিক্ত ওজন বাড়ে না। এ তথ্য অতিরিক্ত ওজনদার মানুষের জন্য সুখবর! ইয়াওমিং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, মোটাসোটা মানুষের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজে আসতে পারে ক্যাপসিসিন। এ ছাড়াও ক্যাপসিসিনের প্রভাবে শরীর শক্তি ক্ষয় করে এবং তৈরি করে তাপ। এর মাধ্যমে খারাপ ধরনের সাদা চর্বি রূপান্তরিত হয়ে ভালো ধরনের বাদামি চর্বিতে পরিণত হয়।

খুব বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকার ফলে শরীর মেটাবলিজমের ভারসাম্য হারায় এবং ওবেসিটি দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে মরিচ বা ঝাল খাওয়াটা উপকারী হলেও এ ব্যাপারে থাকতে হবে মনোযোগ। যদি ভেবে থাকেন এক প্লেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের সাথে অনেকগুলো মরিচ খেয়ে নিলেই কাজ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। বরং ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাপসিসিনের এই গুণ। এ উদ্দেশ্যে গবেষকেরা ক্যাপসিসিন থেকে একটি প্রাকৃতিক ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট তৈরি করার কথা চিন্তা করছেন।

শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই নয়, এই মশলাটি স্বাস্থ্যের আরও অনেক উপকারে আসে। সাইনাস এবং বন্ধ নাকের সমস্যা দূর করতে তো হামেশাই ঝাল খাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ব্যথা কমাতেও ঝাল উপকারী। কেউ কেউ মোটেই ঝাল সহ্য করতে পারেন না, আবার কারও কারও মরিচ ছাড়া খাওয়াই চলে না।



মন্তব্য চালু নেই