হজের প্রাক নিবন্ধন শুরু ২০ ডিসেম্বর

২০১৭ সালের হজের প্রাক নিবন্ধন আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু করতে চায় সরকার। এজন্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মতিউর রহমান।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ২০১৭ সালের হজের প্রস্তুতি সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ধর্ম সচিব মো. আব্দুল জলিল ছাড়াও হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ব্যাংক, হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘প্রস্তুতি সভায় প্রাক-নিবন্ধন নিয়ে আলোচনা হয়। সভার আলোচনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের হজের প্রাক-নিবন্ধন শুরুর সম্ভাব্য সময় ২০ ডিসেম্বর। এজন্য মাননীয় ধর্মমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

সভায় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, সভায় বলা হয় ২০১৬ সালের প্রাক-নিবন্ধিতরা আগামী বছরের হজে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাক-নিবন্ধিতদের তালিকার ক্রমিক চূড়ান্ত করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. হাফিজ উদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

চলতি বছরের প্রায় ৪০ হাজার প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী রয়েছেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখা থেকে জানা গেছে।

চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম করায় প্রায় ১০০ হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য যুগ্ম-সচিব মো. হাফিজ উদ্দিনকে প্রধান করে সভায় আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

চলতি বছর প্রথমবারের মতো ‘হজ ই-সার্ভিস’ এর আওতায় হজে গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে সরকার।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা ৩০ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করে। এরপর হজ প্যাকেজের বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করে এ বছর বাংলাদেশের নাগরিকরা হজে গেছেন।

আগামী হজের ক্ষেত্রেও জেলা প্রশাসক অফিস, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়, পৌর ডিজিটাল সেন্টার, সিটি করপোরেশন ডিজিটাল সেন্টার, হজ পরিচালকের অফিস ও হজ এজেন্সি থেকে প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে।

প্রাক-নিবন্ধন করতে জাতীয় পরিচয়পত্র, (১৮ বছরের কম হলে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদ), পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর প্রয়োজন হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করেছেন।

মসজিদুল হারামের সংস্কার কাজের জন্য সৌদি সরকার বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেরও হজের কোটা কমিয়েছে। আগামী বছর হজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোটা কমানো হবে না বলে মনে করছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। জনসংখ্যা অনুযায়ী কোটা বহাল রাখা হলে বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে এক লাখ ২৭ হাজার জন হজে যেতে পারবেন।



মন্তব্য চালু নেই