হঠাৎ যা চাইলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষিত জামায়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ডিভিশন চেয়েছেন। তার আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের জন্য পাঠিয়েছে কারা অধিদপ্তর। এ বিষয়টি দেখভাল করছেন সাঈদীর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী। সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন এ হিসেবে ডিভিশন চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা। এর আগে গেল বছরের ১৬ই সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে আংশিক মঞ্জুর করে এ রায় দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ওই রায় ঘোষণার সময় বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়।

এরপর এ মামলায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে গেল বছরের ১৬ই এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়। আপিলে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। ১০ নম্বর অভিযোগ বিসা বালিকে হত্যার, ১৬ নম্বর অভিযোগ তিন নারীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের এবং ১৯ নম্বর অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে ১০০-১৫০ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করার।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়। ৬ নম্বর অভিযোগ লুণ্ঠনের, ১১ নম্বর হামলা ও লুণ্ঠনের এবং ১৪ নম্বর অভিযোগ ধর্ষণের। ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস দেয়া হয়। একই অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।

অষ্টম অভিযোগটি হত্যা ও অগ্নিসংযোগের। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। সপ্তম অভিযোগ নির্যাতন ও বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ। ৮ নম্বর (ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা) ও ১০ নম্বর অভিযোগের (বিসা বালি হত্যা) দায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।-মানবজমিন



মন্তব্য চালু নেই