হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত এমপি পিনু খানের গাড়ি জব্দ

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় গুলি করে দুজনকে হত্যার ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের এমপি পিনু খানের গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।

ওই গাড়িতে বসেই গত ১৩ এপ্রিল রাতে যানজটের সময় এলাপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দুই জনকে হত্যা করেন পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি।

সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মোবাইল লোকেশন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বখতিয়ার রনির সম্পৃক্ততা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে রোববার বিকেলে পিনু খানের ন্যাম ভবনের বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ডিবির তদন্তের তথ্য ও গাড়ি চালকের দেওয়া জবানবন্দির প্রেক্ষিতে রনি যে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাতে সন্দেহ নেই। যে অস্ত্রটি দিয়ে গুলি করা হয়েছিল, তার ব্যালেস্টিক পরীক্ষার পর আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, হত্যার সময় ঘটনাস্থলে যে চারজন উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে দুজন এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে যানজটে পড়ে বিরক্ত হয়ে তিনি এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও জনকণ্ঠ পত্রিকার অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আহত হন।

পরে ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম গত ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে একটি প্রাডো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-৩-৬২৩৯) শনাক্ত করা হয়। ওই গাড়ি থেকে গুলি ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চালক ইমরানকে গ্রেফতার করে ডিবি।

এরপর ইমরানের জবানবন্দিতেই জোড়া খুনের রহস্য উন্মোচিত হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইমরান।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গত ২৪ মে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩১ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বখতিয়ার আলম রনিকে আটক করে।



মন্তব্য চালু নেই