হত্যার এক যুগ পর হাইকোর্ট জানালো মামলা চলবে

এক যুগেও ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শার্মিলা শাহরিন পলিন হত্যা মামলার বিচার শুরু করা যায়নি নানা জটিলতায়। তবে আসামিদের আবেদনের কারণে স্থগিত হয়ে থাকা মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে মামলাটির জট খুলবে বলে আশা করছে বাদীপক্ষ।

এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমম্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করে। পলিনের বাবা আবুল বাশার পাটোয়ারি সংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাশার পাটোয়ারি বলেন, ‘সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আসামিরা বিভিন্নভাবে মামলাটি নিষ্পত্তিতে বাধাগ্রহস্ত করেছে। হাইকোর্ট থেকে মামলা চলার আদেশ দিয়েছে। আসামিরা যদি এখন আপিল করে আমরাও আপিল বিভাগের লড়বো।’

আদালতে নিহত পলিনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে শর্মিলা শাহরিন পলিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিনই ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন কলেজের অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম।

পরে একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পলিনের বাবা আবুল বাশার পাটোয়ারি ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে কারো নাম উল্লেখ না করে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আদালত হত্যার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলামিন ২০১৩ সালের ২২ মে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ ময়মনসিংহের জজ আদালত মেজর নাজমুল হকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অন্য চার অভিযুক্ত হলেন-ক্যাডেট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন, নন কমিশন্ড অফিসার নওশেরুজ্জামান, হোস্টেলের আয়া হেনা বেগম ও মেজর মনির আহমেদ চৌধুরী।

পাঁচ আসামির মধ্যে মেজর নাজমুলসহ চার জন জামিনে রয়েছেন। আর মনির আহমেদ চৌধুরী পলাতক।

২০১৬ সালের ১ জুন আসামিপক্ষের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে পলিন হত্যা মামলার বিচারে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন নিহত পলিনের বাবা।



মন্তব্য চালু নেই