হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এসময় সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করছে।

সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।

নিহতরা হলেন-সদর উপজেলার সাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল ও তার সহযোগী কোঁচকুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মুনির হোসেন। সোহেল চেয়ারম্যান আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিল। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় আরও তিনটি সন্ত্রাসী মামলা আছে।

বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও দুটি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, রাতে নিহত ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান এ কে আজাদের বাড়িতে একদল সন্ত্রাসী হামলা করবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গত ৩১ মার্চ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে জয় পান আবুল কালাম আজাদ।

গত ৪ জুন তিনি দূর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে কোঁচকুঁড়ি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। গ্রামের কাছাকাছি আসার পর মুখোশধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় ও গুলি করে। আজাদের চিৎকারে নয়ন কুমার বর্মন নামে এক পথচারী এগিয়ে গেলে তাকেও গুলি করে সন্ত্রাসীরা।

গুরুতর আহত দুজনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান আজাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় আনা হয়। গত ১২ জুন রবিবার ভোরে ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।



মন্তব্য চালু নেই