হরতালে অফিস করলে অতিরিক্ত ছুটি

বিরোধী দল বা সংগঠনের হরতাল ধর্মঘটে অফিস করলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ ছুটি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। গত ২ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটে যারা অফিসে গিয়েছিলেন তাদের বিশেষ ক্যাজুয়াল লিভ দেয়া হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় ‘নবান্ন’ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকে গত ২ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ধর্মঘট হয়। ধর্মঘটকে সমর্থন জানায় বাম এবং কংগ্রেস। প্রতিবারের মতো এবারও, বিরোধীদের এই ধর্মঘটকে রুখতে কোমর বেঁধে নামে তৃণমূল সরকার। ধর্মঘটের দিন ছুটি মিলবে না, সে দিন অনুপস্থিত থাকলে সরকারি কর্মচারীদের একদিনের বেতন কাটা যাবে, কর্মজীবনে একদিনের ছেদ পড়বে, এরকম নানা হুঁশিয়ারি দিয়ে জারি হয় নির্দেশিকা। ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত অনেককে শো’কজ নোটিশও পাঠানো হয়।

কিন্তু, একটি কর্মদিবস নষ্ট নিয়ে এমন কড়াকড়ির মধ্যেই তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন, ধর্মঘটের দিন যারা অফিস করেছেন, তাদের একদিন ছুটি দেয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর এ ঘোষণা শুনে বিরোধীরা বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাতেই স্পষ্ট, কর্মসংস্কৃতি আসলে সাফাই মাত্র! আদতে তিনি, বিরোধীদের আন্দোলনকে ভোঁতা করতে চান। সেই কারণেই কর্মসংস্কৃতির নাম করে এত হুঁশিয়ারি দেয়ার পর, নিজেই ছুটির ঘোষণা করে দিলেন!

ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। বলা হয়, ২ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটে যে সরকারি কর্মচারীরা অফিসে করেছেন তাদের বিশেষ ক্যাসুয়াল লিভ দেয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই লিভ নিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই