হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে খালেদার আপিল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে করা দুটি রিভিশন আবেদেনর খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বুধবার আবেদনটি দাখিল করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সংক্রান্ত দুটি আবেদন নিম্ন আদালতের খারিজ হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা দুটি রিভিশন আবেদন করেন হাইকোর্ট।

গত ১৫ মে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ খালেদার রিভিশন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এর ফলে নিম্ন আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

গত ১৭ এপ্রিল ওই দুটি আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারিক আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনে মামলার কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়।

পরে ২১ এপ্রিল আবেদন দুটি কার্যতালিকায় আসলে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন করতে বলেন।

পরে সেই আবেদনের ওপর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি শেষে ১০ মে দুটি আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হলে ১৫ মে আদেশের জন্য দিন ঠিক করা হয়। সেদিন আবেদন দুটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

এই মামলার কার্যক্রম ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী বিশেষ আদালতের চলছে। বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ১৯ মে পরবর্তী তারিখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।



মন্তব্য চালু নেই