হাইতিতে ম্যাথিউর আঘাতে নিহত ৩৩৯

হাইতিতে হারিকেন ম্যাথিউর প্রচণ্ড আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র দক্ষিণাঞ্চলীয় রচে-বাতিউ শহরে নিহত হয়েছে ৫০ জন। উপদ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রধান শহর জেরেমির শতকরা ৮০ ভাগ ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সুদ প্রদেশে ধ্বংস হয়েছে ৩০ হাজার বাড়ি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল প্রায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দুর্গত এলাকায় ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। লোকজন খাদ্য ও পানীয় সংকটে ভুগছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাসিন্দার জরুরি ত্রান সহায়তা প্রয়োজন।

প্রায় এক দশকের মধ্যে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে তৈরি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হারিকেন ম্যাথিউ হাইতি ও কিউবার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পর এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানবে। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে হারিকেন ম্যাথিউ সরাসরি আঘাত হানবে বলে স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এবং ২০ লাখ মানুষকে নিজ বাসস্থান ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে নর্থ ক্যারোলিনায় আঘাত আনা হারিকেন স্যান্ডির পর এই প্রথম এতো বিশালসংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টা জানিয়েছে, হারিকেনের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। হারিকেনটি আঘাত হানার সময় উপকূলে ১১ ফুট উচ্চতায় ঢেউ আঘাত হানতে পারে। এর ফলে কয়েক হাজার বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিপজ্জনক হিসেবে একে চার নম্বর ক্যাটাগরির হারিকেন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমেরিকার নাগরিকদের আবহাওয়ার সব নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ফ্লোরিডায় জরুরি অবস্থা ঘোষনা করেছেন বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট বলেছেন, ‘ আমরা ইতিমধ্যে ম্যাথিউর প্রভাব ও তাণ্ডব দেখতে শুরু করেছি।’ বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ আপনাদের এখনো সরে যাওয়ার সময় আছে। শহর থেকে বেরিয়ে যান। সুযোগের জন্য চেষ্টা করার কোনো প্রয়োজন নেই।’



মন্তব্য চালু নেই