হাকিমপুরী জর্দা’র মালিক দেশের শীর্ষ করদাতা

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০০ জনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে দেশটির জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অনেক নামীদামী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীকে পেছনে ফেলে সেখানে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন তামাক পণ্য ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া।

গত বছর যে শীর্ষ দশজনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেটির প্রথম স্থানেও ছিলেন তিনি। এর আগেও তিনি শীর্ষ করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন।

হাকিমপুরী জর্দা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. কাউছ মিয়া তার ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র আড়াই হাজার টাকা নিয়ে, পঞ্চাশের দশকে।

তার বক্তব্য অনুযায়ী, এখন তার বিভিন্ন ব্যবসা আর জায়গাজমি মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা।

তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন চাঁদপুরে, সেখানে ছিল তার স্টেশনারী দোকান। এর পরের ২০ বছরে ধীরে ধীরে তার ব্যবসা বাড়তে থাকলে তিনি চলে আসেন নারায়ণগঞ্জে । শুরু করেন তামাকের ব্যবসা।

“তখন তামাক বাংলাদেশে চাষ হতো না। পাকিস্তানের মারদান থেকে আসতো।” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন কাউছ মিয়া।

তামাকের ব্যবসা থেকেই তার মাথায় আসে জর্দা উৎপাদনের কথা।

_92213392_f3ad78ad-eeb2-4e8e-a2bc-ac76f1f87cf4

প্রথমে একটা ছোট কারখানা দিয়ে বাজারে ছাড়লেন ‘শান্তিপুরী জর্দা’, পরে সেটা নকল হতে থাকায় নতুন করে চালু করলেন ‘হাকিমপুরী জর্দা’ এই নাম দিয়ে, ১৯৯৬ সাল থেকে।

কাউছ মিয়া বলছিলেন, ‘শান্তিপুর’ বা ‘হাকিমপুর’ এসব নামকরণের পেছনে বিশেষ কোন কারণ নেই। তবে হাকিমপুর নামটা লোকের মুখে সহজে আসে, সহজে বলতে পারে – এ জন্যই এই নাম রাখা।

ছেষট্টি বছর ধরে ব্যব্সা করছেন কাউছ মিয়া।। তার মধ্যে তামাক ও জর্দার ব্যবসা থেকেই তিনি লাভ করেছেন চার-পাঁচশ কোটি টাকা।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, করদাতা হিসেবে তিনি পাকিস্তান আমল থেকেই পুরস্কৃত হয়ে আসছেন। এতবার সর্বোচ্চ করদাতা হতে পেরে তিনি খুশি।

অন্য ব্যবসায়ীরা কেন তার মতো এত বার সর্বোচ্চ করদাতা হতে পারেন নি – এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে। কিন্তু তিনি জীবনে ব্যাংকের টাকা নেন নি। “বরং ব্যাংকই আমার রাখা টাকা খাটিয়েছে” – বলেন কাউছ মিয়া।খবর বিবিসি বাংলা’র।



মন্তব্য চালু নেই