হাজির বেশে পকেটমার !

অজ্ঞান পার্টিগুলোর একটি গ্রুপ সৌদি আরবে গিয়ে হাজিদের অজ্ঞান করে ও পকেট মেরে কোটি টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য গ্রুপের চার সদস্যকে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌদি আরবে পাঠানোর ব্যবস্থাও হয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা কয়েকজন ওই দেশের ভিসা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু তার আগেই গোয়েন্দা পুলিশের জালে আটকা পড়েছে অজ্ঞান পার্টির ১২ সদস্যের একটি দল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ছয়জন এবং রমনা থানার মালিবাগ রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞানপার্টির নেতা আব্দুল গফুরসহ ছয় সদস্যকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন হজের জন্য ভিসা সংগ্রহ করেছেন, যাতে সেখানে গিয়ে একই কাজ চালানো যায়। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক দ্রব্যমেশানো আচার উদ্ধার করা হয়।

শাহবাগ থেকে আটককৃতরা হলেন – নুরুল আনোয়ার, সুজন খান, আবুল বশার, আবুল হাসান, আক্তার হোসেন, আবুল কালাম। আর রমনায় যারা আটক হন তারা হলেন- আব্দুল গফুর, টুটুল বিশ্বাস সুমন, সারোয়ার জামাল ওরফে নেতাজি, মো. ইব্রাহিম, মো. মনির হোসেন ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু।

মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা ঢাকা ও তার আশপাশের জেলায় বাসের যাত্রীদের টার্গেট করে আচার খাইয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। এর পাশাপাশি এ গ্রুপের আরো একটি অভিনব কর্মকাণ্ড হলো- তাদের ৪-৫ সদস্যের একটি দল প্রতি বছর হজের সময় সৌদি আরবে হাজিদের পকেট মেরে ও অজ্ঞান করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে হজযাত্রী হিসেবে সে দেশে যায়। এ বছরও আব্দুল গফুর, টুটুল বিশ্বাস ওরফে সুমন ও রওশন সৌদি আরবে হাজিদের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশ্যে হজ পালনের পরিকল্পনা করেছিল।

তিনি বলেন, এর আগেও সৌদি আরবে হজ পালনরত মানুষদের পকেট মারতে গিয়ে এ গ্রুপের কয়েক সদস্য সৌদি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বর্তমানে তারা সেখানে কারাভোগ করছে।
এ গ্রুপের নেতৃত্বে আছে নুরুল আনোয়ার ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. সুজন খান। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই