হাটহাজারীতে অধিকাংশ কেন্দ্র দখল : প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল

রাউজান ও হাটহাজারীতে কেন্দ্র দখল ও জোর করে ব্যালট পেপারে সিলমারার মধ্যদিয়ে চলছে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। হাটহাজারীর গরদুয়ারা ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখলে নিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এ ইউনিয়নে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ ফোরকান নির্বাচন বর্জন করেছেন। সকাল ১০টায় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানান।

তার অভিযোগ, পাশ্ববর্তী রাউজান থেকে রাউজানের প্যানেল মেয়র বশিরের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন লোক এসে হঠাৎ করে কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। তারা লাটিসোটা নিয়ে কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেন। এসময় ৭নং কেন্দ্রের বুথের ভেতরে ঢুকে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন তারা।

সকাল ৮টা থেকে হাটহাজারীর কাটিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চারিয়া বোর্ড, ফরহাদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন রয়েছে। সকালের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ভোট দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় কেন্দ্র দখলের প্রতিযোগিতা।

কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাইরে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব এবং বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেলেও তারা কোনো ধরনের অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান মো. ইসহাক। তিনি সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা মুহূরীহাট কেন্দ্রে জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে।

তবে হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মসিহ উদ দৌলা রেজা বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের গণ্ডগোলের খবর নেই আপাতত। পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

হাটহাজারীর ১৪ এবং রাউজানের ১৪ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে আজ। তবে রাউজানে ১১টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জন, মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় স্থানীয় এমপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। ফলে এখানে মাত্র ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভোট চলছে।



মন্তব্য চালু নেই