হাতিয়ায় ২ নির্বাচনী অফিসার গুলিবিদ্ধ: চরজব্বরে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সর্মথকদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের হাতাহাতি ও গোলাগুলি হয়েছে। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নির্বাচনী অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন শুরুর মুর্হুতে হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার শাহাদাত হোসেন ও পোলিং অফিসার আব্দুল আউয়াল। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিসুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

সকালে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায় বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন আহম্মদের সমর্থক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মুহিনের সমর্থকরা।

এসময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে। এতে দুই নির্বাচনী কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাদের ওছখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও পরে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

অপরদিকে, জেলার সূবর্ণচর উপজেলার এক নম্বর চরজব্বর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ মিয়া পুনরায় ভোটের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করেছেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে আব্দুল্লাহ মিয়া বাজারে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার দলীয় কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে জোর করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়া ও আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ কারণে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়ে আমি নির্বাচন বর্জন করেছি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সূবর্ণচর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নের ৭৯টি ভোট কেন্দ্রে এক লক্ষ ৬২ হাজার ৫৩৮ জন ভোটার এবং হাতিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৭২টি ভোট কেন্দ্রে এক লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৮১ জন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম জানান, সূবর্ণচর ও হাতিয়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছে। দুই উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রে ও বাহিরে নিরাপত্তার জন্য ৯৪১ জন পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও সাধারণ আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিলো। পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরাও টহলে ছিলো।



মন্তব্য চালু নেই