হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতিটা ঠিক কী? জেনে নিন

সেই ছোটবেলার শিক্ষা। খাওয়ার আগে হাত ধোয়া মাস্ট। নইলে নানান রোগ। হাত ধুচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু জীবাণুমুক্ত হচ্ছে কি? হচ্ছে না। কারণ, আপনি যেভাবে হাত ধুচ্ছেন, তাতেই গলদ। কখন হাত ধুতে হবে, কীভাবে ধুতে হবে? দেখুন।

ঠিক তাই। হাত তো ধুচ্ছেন। কিন্তু জীবাণু যাচ্ছে কি? যাচ্ছে না। যাওয়ার কথাও নয়। কারণ, হাত ধোয়াতেই রয়েছে গলদ। মাঝে মাঝেই ধুয়ে নিতে হবে হাত। জীবাণু সংক্রমণ হবে কম। শরীর থাকবে সুস্থ। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, সাজ-সরঞ্জাম জোগাড় করে হাত ধুতে হবে না। শুধু চাই জল আর একটু সাবান। অথবা কোনও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ব্যস।

বাড়ি হোক বা অফিস, সারাদিন সংস্পর্শে আসতেই হয় বিভিন্ন মানুষের।এছাড়া হাতে নিতেই হয় ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস। টেবিল, চেয়ার বা মাটিতেও হয়ত কখনও হাত রাখতে হয়। মানে, উড়ছে জীবাণু। চোখ, নাক অথবা মুখে হাত দিলেই ব্যস। শরীরে সহজেই ঢুকছে জীবাণু।

সেই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ধুতেই হবে হাত। রান্না করা ও খাওয়ার আগে ধুয়ে নিতে হবে হাত। ক্ষতর চিকিত্সা, ওষুধ খাওয়া অথবা অসুস্থ ও আহত মানুষকে শুশ্রূষার আগে। কনট্যাক্ট লেন্স পরা বা খোলার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে। রান্না করা, বিশেষ করে কাঁচা মাছ, মাংস রান্নার পর হাত ধোয়া মাস্ট। টয়লেট ব্যবহারের পর। ডায়াপার চেঞ্জ করার পর। হাঁচি ও কাশির পর। পোষ্যের সঙ্গে খেলার পর। ক্ষতর চিকিত্সা, ওষুধ খাওয়া অথবা অসুস্থ ও আহত মানুষকে শুশ্রূষার পর। জামাকাপড় কাচা ও জুতো পরিষ্কারের পর। কারও সঙ্গে হাত মেলানোর পর হাত ধুয়ে নিতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।

কীভাবে ধুতে হবে হাত?
প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হবে হাত। হাতে সাবান দিতে হবে। ১৫ সেকেন্ড ঘষতে হবে। জলের নিচে ভাল করে ঘষতে হবে। ন্যাপকিন দিয়ে হাত মুছে নিতে হবে। ন্যাপকিন হাতে নিয়ে কল বন্ধ করতে হবে।

হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতিটা ঠিক কী?
হাতে সাবান দিয়ে তালুতে তালু ঘষে নিতে হবে। আঙুলের মাঝে ঘষে নিতে হবে। হাতের ওপরের দিকেও ভাল করে ঘষতে হবে। বুড়ো আঙুলের গোড়ায় ঘষে নিতে হবে। আঙুলের ওপরের দিকে ঘষে নেওয়ার প্রয়োজন। নখের ডগা ঘষে নিতে হবে। কব্জি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ভাল করে মুছে শুকনো করে নিতে হবে। হাত ধুয়ে নিন। কিন্তু নিয়ম মেনে। জীবাণু বলবে টা টা বাই বাই।



মন্তব্য চালু নেই