হালাল খাদ্য গ্রহণের উপকারিতা

হালাল খাদ্য আল্লাহ তাআলা নিয়ামত। তিনি মানুষকে হালাল খাদ্য গ্রহণের তাঁর এ নিয়ামতকে ভুলে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা মানুষকে হালাল খাদ্য গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে মানব জাতি! তোমরা পৃথিবীর দ্রব্য-সামগ্রী থেকে হালাল বস্তু আহার কর এবং (কখনও) শয়তানের অনুসরন করো না। নিশ্চয় সে (শয়তান) তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৬৮)

হালাল রিজিক বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় অনুগ্রহ। তিনি সৃষ্টি জগতে বান্দার জীবিকার ব্যাপারে ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আমার অনুগ্রহের কথা কিন্তু ভুলে যেওনা যে, আমি তোমাদেরকে আহারের জন্যে এমন উত্তম খাদ্য হালাল করেছি যা অত্যন্ত সুস্বাদু; তোমরা আগ্রহের সঙ্গে তা আহার কর, সে সব খাদ্য তোমাদের দৈহিক বা মানসিক কোনো প্রকার ক্ষতি করে না।’

কুরআনের বিভিন্ন জায়গা আল্লাহ তাআলা হালাল খাদ্য গ্রহণের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। হালাল খাদ্য গ্রহণের উপকারিতাও বর্ণনা করেছেন। হাদিসে কুদসিতে বিশ্বনবি বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আমার বান্দার জন্য হালাল যে সব সম্পদ দান করেছি তা তাদের জন্য হালালও ঘোষণা করেছি; আমি আমার বান্দাদেরকে একত্ববাদের অনুসারী রূপেই সৃষ্টি করেছি; কিন্তু শয়তান তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে এবং আমার হালাল স্থির করা বস্তুকে হরাম করেছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হালাল খাবার গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হজরত সা’দ বি আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমার জন্যে এ দোয়া করুন, আল্লাহ তাআলা যেন আমার সমস্ত দোয়া কবুল করেন। এর জবাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সা’দ! হালাল ও উত্তম খাদ্য আহার কর; তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমার দোয়াসমূহ কবুল করবেন। শপথ সেই মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলার, যার হাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রাণ। হারাম খাদ্য মানুষের উদরে প্রবেশ করলে তার কারণে চল্লিশ দিন পর্যন্ত সে ব্যক্তির দোয়া কবুল করা হয় না। যে রক্ত-মাংস হারাম দ্রব্য দ্বারা গঠিত তা দোজখে যাবে।

আল্লাহ তাআলা মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে হালাল খাবার গ্রহণের তাওফিক দান করুন। হারাম থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। হালাল রিজিক উপার্জনে মানুষের কর্মে বরকত দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই