হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বললেন, ‘আমি আজও অভিনেতা’!

কেউ যদি কোনও কথা তিনবার বলেন তবে তার গুরুত্ব বেড়ে যায় বলে প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে। সেই কারণেই বাংলায় তিন সত্যি বলে একটি কথাও চালু রয়েছে। বাংলার বিনোদন জগতের অন্যতম প্রধান মুখ তাপস পাল কি সেই কথা মাথায় রেখেই আজ হাসপাতালের চেকআপ থেকে বেরিয়ে তিন বার বললেন, ‘আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ’?
গতকাল ভুবনেশ্বরের আদালতে বেঞ্চে বসে কেঁদেছিলেন তাপস পাল। কিন্তু আজ সকাল থেকেই বেশ হাসিমুখে দেখা গেল তাঁকে। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানালেন। সকালে মে়ডিক্যাল চেকআপে ঢোকার আগে হাসিমুখেই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি দোষী নই, নির্দোষ। সত্যটা বেরিয়ে আসুক’। এর পরে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁর চেকআপ চলে ভুবনেশ্বরের ক্যাপিটাল হসপিটালে। চেকআপের পরে আবারও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, ‘আমি দোষী নই, আমি তো জানি আমি কিছু করিনি।’
তাঁর কথার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশ্ন করা হয় যে তবে কি তাঁকে রোজভ্যালি-কর্তা গৌতম কুণ্ডু ফাঁসিয়েছেন? এই প্রশ্নটি শুনে প্রথমে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন তাপস পাল। তার পর বলেন, ‘এই সব দেখে এখন সেটাই তো মনে হচ্ছে।’ এর পর আর এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন যে তিনি এক সময়ে নামকরা অভিনেতা ছিলেন। প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে থামিয়ে দিয়ে তাপস পাল বলে ওঠেন, ‘নামকরা অভিনেতা আমি আজও। আমি আজও নামকরা অভিনেতা।’
তার পরেই তিনি তিনবার বলেন, ‘আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ’। শুধু তাই নয়, দল যে তাঁর পাশে রয়েছে সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি এবং বার বার বলতে থাকেন, ‘সব পরে প্রমাণিত হবে। আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন।’ ঠিক কী দেখার কথা বলছেন তিনি? অন্যদিকে সিবিআইয়ের অভিযোগ রয়েছে যে তাপস পালের সঙ্গে বাংলার আর এক অভিনেত্রী রোজভ্যালির অফিসে যেতেন মিটিং করতে এবং তিনি টাকাও নিতেন। সেই অভিনেত্রীর নাম এখনও প্রকাশ করেনি সিবিআই। কিন্তু এই বিষয়ে যে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে তা ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে।
তবে কি এবার তাপস পালের মুখোমুখি সেই অভিনেত্রীকে বসিয়ে দ্বৈত জেরার পরিকল্পনা করছে সিবিআই? আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আশা করা যায় তা জানা যাবে।



মন্তব্য চালু নেই