‘হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া আত্মহত্যার শামিল’

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া আত্মহত্যার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মঙ্গলবার দুপুরে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

‘শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার: প্রেক্ষিত, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ‘ভয়েস অব ডেমোক্রেসি-বাংলাদেশ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া আর ট্রাকের নিচে মাথা দেওয়া একই কথা। আত্মহত্যা মহাপাপ। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া তার চেয়ে বড় পাপ। এই পাপ কি করা যায়? জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইসিকে শক্তিশালী করতে হবে। সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের মত ব্যক্তিদের নিয়ে যে নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাইরে ৩ মাসের জন্য নিরপেক্ষ সরকার হলেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্য নির্বাচনগুলোর মতো ভোট ডাকাতি হয়নি, চুরি হয়েছে। দিনের আলোতে যা ঘটেছে তা সুন্দর ছিল, কিন্তু রাতের ঘটনা অজ্ঞাত। নির্বাচনে ভোট গণনার পূর্বে গোপনে বা আড়ালে থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয় ওই তিন কেন্দ্র এত ভোট পেয়েছেন সাখাওয়াত এবং এত পেয়েছেন আইভী। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, গোপন থেকে জানানো এবং সরকারি ফলাফল এক হয় কীভাবে? প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের কক্ষে বিশেষ টিম ছিল। ওইসব কক্ষে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, চুরিতে নয়, ডাকাতিতে বিশ্বাস করি। কথাটি আমি নিজের কানে শুনিনি, তবে শোনা কথাটির উদ্ধৃতি দিলাম। ফলে আমাদের মনে সন্দেহ জাগতেই পারে সেখানে কিছু তো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনে যা ঘটেনি সেটা আমরা বলিনি। তবে নির্বাচনের এতো সুন্দর পরিবেশ করেছে যা বিগত নির্বাচনগুলোতে ছিল না। সুতরাং রাতের বেলায় কি হয়েছে, তা জানি না। কারণ অপরাধীরা একই কৌশলে বার বার অপকর্ম করে না। এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে, সবকিছু জেনে আপনাদের জানানো হবে। বিএনপির কাউন্সিল প্রার্থীরা নাসিকে বেশি জয় লাভ করেছে। মানুষ কাউন্সিলরদের মার্কায় ভোট দিলো আর ধানের শীষে ভোট দিলো না এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান রিন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই