হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শারদীয় শুছেচ্ছা

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার পৃথক পৃথক বাণীতে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও সারা দেশে যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় গাম্ভীর্য এবং অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

তিনি আরো বলেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুরশক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়ে থাকে। আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা করে আসছে। এ উৎসব সর্বজনীন।

সব ধর্মের মূলবাণী মানবকল্যাণ। দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে আলোকময় হয়ে উঠুক। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং ধর্মের মূলবাণী আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উদ্বুদ্ধ করুক। বিশ্বমানবতার জয় হোক- এ কামনা করি। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এ দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদি অত্যন্ত জাঁকজমক ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্যকে অক্ষুণœ রেখে জাতীয় উন্নয়নে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরো সুসংহত করুক- এ কামনা করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দুধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।

অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান লক্ষ্য। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ আমাদের সকলের।

আমার প্রত্যাশা, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।



মন্তব্য চালু নেই