হুইলচেয়ারে বসেই তিনি সফল বডিবিল্ডার

১৩ বছর বয়সেই বডি বিল্ডিংয়ে ট্রফি পেয়েছিল ছেলেটা। কিন্তু তারপরই ভাগ্যের চরম পরিহাস। যখন বয়স ১৫ বছর, তখন ক্যানসার ধরা পড়ে তার। জরুরি অপারেশনের পর একটা অংশ অবশ হয়ে যায়। কিন্তু মনের জোর থাকলে কি না হতে পারে। জীবনের এই প্রতিকূলতাকেও তাই পেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন আনন্দ আর্নল্ড। আর তাই ২৮ বছর বয়সে তার ঘরেই রয়েছে বডি বিল্ডিংয়ের জন্য ১৩ টি ট্রফি।

পাঞ্জাবি যুবক আনন্দের জীবন সত্যিই গল্পের মতো। ক্যানসার রুখতে যে জরুরি অপারেশন হয় তাতে শরীরে উপরের অংশ ‘প্যারালাইজড’ হয়ে যায় তার। শুধু হাত দুটো নাড়াতে পারতেন। সকলেই ভেবেছিলেন কিশোর আনন্দের বডি বিল্ডিংয়ের সব স্বপ্নের সেখানেই পূর্ণচ্ছেদ।

শুধু এই সমাপ্তি মেনে নিতে পারেননি আনন্দ নিজে। বছর তিনেক বিছানায় শয্যাশায়ীই ছিলেন। নরকবাসের সেই যন্ত্রণা থেকে একদিন তিনি নিজেই নিজের মুক্তির কথা ভাবেন। পরিবারের সকলের সহায়তায় আবার শুরু করেন ট্রেনিং।

প্রথম প্রথম অসম্ভব মনে হলেও, মনের জোরে ভরসা রেখেই একদিন প্রতিকূলতাকে পেরতে পেরেছিলেন তিনি। হুইলচেয়ারে বসে বসেই শুরু করেন ট্রেনিং। অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। একটা ট্রফি পাওয়ামাত্র মনোবল তুঙ্গে ওঠে তার। ফিরে পান হারানো আত্মবিশ্বাস। এখন তার ঘরে প্রায় ২৭ টি ট্রফি। ‘মাসল ম্যানিয়া’ নামে এক স্বাস্থ্যকর পানীয়র অ্যাম্বাসাডারও তিনি।

তার স্বপ্ন, তার জীবনের এই কাহিনি নিয়ে একটি সিনেমা হোক। যাতে তরুণ প্রজন্ম তার জীবন দেখে উৎসাহিত হয়। সিনেমা হোক বা না হোক, তার জীবনের সংগ্রাম যে বহু মানুষকে উৎসাহ দেবে- তা বলা বাহুল্য।



মন্তব্য চালু নেই