হুমায়ুন আজাদ হত্যা: বিচারক ছুটিতে, অনুপস্থিত সাক্ষীও

সাক্ষ্য নেওয়ার নির্ধারিত দিনে বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে ফের পিছিয়ে গেছে লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম।

মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমীনের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্যান্য সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল।

আগামী ২৫ নভেম্বর সাক্ষ্য নেওয়ার দিন রাখা হয়েছে।

আলোচিত এ মামলায় গত ৭ মে পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষে ৩৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলেও এরপর থেকে আর কারও সাক্ষ্য নেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ বিএম বশির উদ্দিন মিয়া।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, এ মামলার চার জন তদন্ত কর্মকর্তার মধ্যে এসআই মাহবুবুর রহমান ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমানের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

তবে অপর দুই তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী আব্দুল মালেক এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ‘সঙ্গত কারণে’ তলব করা হয়নি বলে জানান তিনি।

বশির উদ্দিন মিয়া বলেন, “মামলার বাকি সব সাক্ষীকে তলব করা হয়েছে। এসব সাক্ষী না এলে তখন ওই দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে নিয়ে আসা হবে।”

হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট সাক্ষী ৫৮ জন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের কয়েকজন জানিয়েছেন, অর্ধবিস হরতালের কারণে কারাগারে আটক মামলার দুই আসামি জেএমবির শুরা সদস্য আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ ও হাফিজ মাহমুদকে বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

অপর দুই আসামি মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিনকে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তাদের অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম চলছে।

অপর আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু শুরু থেকেই পলাতক।

গত ৩০ এপ্রিল সিআইডি’র পরিদর্শক লুৎফর রহমান এই পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টো পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, বহুমাত্রিক লেখক ও ভাষাতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।

এরপর কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০০৪ সালের অগাস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ১২ অগাস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

হামলার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় যে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন সেটিই পরবর্তীতে আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।বিডিনিউজ২৪



মন্তব্য চালু নেই