‘হেমামালীনিরও দোষ ছিল’

এ বার তোপ এল দলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র পক্ষ থেকেই। রাজস্থানের দৌসার গাড়ি দুর্ঘটনা-কাণ্ডে হেমা মালিনীকে প্রকাশ্যেই দুষলেন ওই বিজেপি সাংসদ। জানালেন, ওই ঘটনায় হেমা মালিনীর আচরণ ‘অমানবিক’ ছিল।

বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে বাবুল বলেন, ‘ঘটনার সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন হেমাজি-সহ প্রত্যেকেই ‘অমানবিক’ রকমের দোষী। অত ছোট বাচ্চাকে গাড়ির সামনের আসনে বসানো যেমন বিপজ্জনক ছিল, তেমনই হেমাজিরও ওই অবস্থায় জখম বাচ্চাটিকে রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়া উচিত হয়নি মোটেই। এটা মানতেই হবে।’
গত সপ্তাহে দৌসায় হেমা মালিনীর মার্সিডিজ গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় একটি অলটো গাড়ির। মাথায় ও কপালে চোট পান হেমা। কিন্তু মৃত্যু হয় অলটোর সামনের সিটের শিশুটির। গুরুতর আহত হন তার দাদা, বাবা, মা-ও। এই দুর্ঘটনার পর বুধবারই হেমা টুইট করে জানান, মৃত শিশুটি ও তার পরিবারের জন্য তাঁর যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু ওই দুর্ঘটনায় দোষ ছিল ওই শিশুটির বাবারও। তিনিই ট্রাফিক আইন ভেঙে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর তাতেই ঘটেছে দুর্ঘটনা।
এর উত্তরে অবশ্য শিশুটির বাবা হর্ষ খান্ডেলওয়াল দাবি করেন, তিনি আদপেই গাড়ি জোরে চালাচ্ছিলেন না। গাড়ি জোরে চালাচ্ছিলেন হেমার মার্সিডিজ গাড়ির চালকই। ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে মার্সিডিজটি চলছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, হেমা মালিনী যদি সে সময় আহত শিশুটিকেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন, তা হলে সে বেঁচে যেত। হাসপাতালে তিনি বলেন ‘‘আমার দু’বছরের ছোট্ট মেয়েটা রাস্তায় পড়ে ছিল। কেউ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি ওকে। উনি (হেমা মালিনী) অন্তত এটুকু দয়া করতে পারতেন।’’

ঘটনার পরে বিরোধী মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাংসদ হেমা মালিনীকে সঙ্গে সঙ্গেই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জখম শিশু ও তাঁর পরিবারকে অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে। অবশেষে তাঁরা যখন একটি সরকারি হাসপাতালে পৌঁছন, ছোট মেয়ে চিনিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

সব কিছুর পরেও ৬৬ বছর বয়সি ওই অভিনেত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কোনও সাহায্য করেননি বলে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। বারবারই প্রশ্ন উঠেছে, নিজে হাসপাতালে যাওয়ার সময় শিশুটির কথা ভাবলেন না কেন হেমা। কেন টুইটে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। তবে এত দিন এ সবই ছিল বিরোধী মহলের তরফে। এ বার সে পথে হাঁটলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও।
এবিপি



মন্তব্য চালু নেই