হ্যাক করা সম্ভব পেসমেকারও!

শুধু কম্পিউটার বা অনলাইন অ্যাকাউন্টই হ্যাক হয় না, হ্যাক হয় আরও বহু সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষের জীবন রক্ষাকারী পেসমেকারও।

এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

পেসমেকার হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়। আর এটি জীবন রক্ষাকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস।

আর এ ডিভাইসটি যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে জীবনও চলে যেতে পারে হ্যাকারের হাতে। নিরাপত্তা গবেষকরা এ আশঙ্কা ব্যক্ত করে ওই ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। হ্যাকাররা যেন ক্লাউড-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডিভাইসটি হ্যাক করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

গবেষকরা জানান, পেসমেকার বা ইনসুলিন পাম্পের মতো জীবন রক্ষাকারী ডিভাইসগুলো সর্বশেষ প্রযুক্তিনির্ভর (আপডেট) করার জন্য তারবিহীন কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত, যেটি প্রায় অরক্ষিত। আর এই সুযোগে রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থার মাধ্যমে হ্যাকারদের পক্ষে ওই ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে গেলে তারা এর সুইচ বন্ধ করে দিতে পারে অথবা মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীর মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন।

ইন্টারনেট নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির বিশেষজ্ঞ বার্নাবি জ্যাকও এ গবেষণা চালান। তিনি গবেষণাগারে পরীক্ষা চালিয়ে পেসমেকার বা ইনসুলিন পাম্পের মতো চিকিৎসা সরঞ্জামের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এখনো কোথাও থেকে ওই ধরনের ডিভাইস হ্যাকড হওয়ার খবর তাঁদের কাছে নেই বলে তিনি জানান। এর পরও আগাম সতর্কতা হিসেবে তিনি ওই ধরনের ডিভাইসের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এফডিএ জানিয়েছে, পেসমেকারের এ হ্যাকিং যদি বাস্তবে সম্ভব হয় তাহলে তা মানুষের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এটি জীবনের জন্য হুমকি, আঘাত কিংবা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই