১০ টি কৌশলে সুন্দরভাবে ধরে রাখুন আবেগের সম্পর্ক

আমাদের আবেগের সম্পর্কগুলো আমাদের কাছে খুব দামী। সম্পর্কগুলো সহজ স্বাভাবিক থাকলে আমরাও ভাল থাকি। টানাপোড়েন ও ভুল বোঝাবুঝি আমাদের স্ট্রেস বাড়ায়, কাজে অমনোযোগ তৈরি করে। পরিস্থিতি যাই হোক, আমরা আমাদের আবেগের প্রতি যত্নশীল। ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়াতে এবং ধরে রাখতে এই পরামর্শগুলো আপনার কাজে লাগবে।

১। নিজের অনুভূতিকে চিনুন
আপনি পাশের মানুষটির প্রতি কী অনুভব করছেন তা ঠিকমত বুঝতে পারা একটি কঠিন কাজ। তাই একটু সময় নিন। আপনার আবেগ সম্পর্কে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন না।

২। সত্যি অনুভুতিটাই শেয়ার করুন
আপনি যখন আপনার অনুভূতিগুলো মন থেকে প্রকাশ করেন তখন সামনের মানুষটি কিন্তু সহজেই বুঝতে পারে আপনার আন্তরিকতা। তাই অবশ্যই সত্যটাই প্রকাশ করুন।

৩। রাগ প্রকাশ করুন শান্তভাবে
রেগে গেলে চিৎকার করে প্রকাশ করবেন না। আপনার রাগের জন্য অপরকে অস্বস্তিতে ফেলবেন না। বরং যার উপর রেগে আছেন তার সাথে নিজের কথাগুলো শান্ত কিন্তু শক্তভাবে তুলে ধরুন। চিৎকার করাই সমাধান নয় সবসময়। এতে সম্পর্ক খারাপ হয়।

৪। প্রতি উত্তর চান
অনেক সময় মানুষ স্বেছায় অনুভূতির জবাব দেয় না। জবাব চাইতে হয়। মনে মনে কষ্ট না পেয়ে সরাসরি প্রশ্ন করে জেনে নিন আপনার উত্তরগুলো। উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজেই অগ্রসর হোন।

৫। নিরপেক্ষ কারো সাহায্য নিন
অনেক সময় সম্পর্কের অবস্থা এতই খারাপ থাকে যে আলোচনা করে কোন ফল হয় না। নিজের আবেগগুলো শেয়ার করা বরং আরও বেশি জটিলতা তৈরি করে। এমন কারও সাহায্য নিন যে আপনার কথাগুলো শুনবে। নিজের ভেতরের সবকথা বের করে দিতে পারলে আপনি অনেক স্বস্তি বোধ করবেন। শান্তি পাবেন। আর তখন ভাল করে বিচার ও করতে পারবেন নিজেক।

৬। কখনো অনুমান করে নেবেন না
ভুল বোঝাবুঝিগুলো এভাবেই হয়। আমরা প্রশ্ন না করে অনুমান করে নিই আমাদের ভালবাসার মানুষটি কি ভাবছে। আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। এটা করবেন না। কথা বলুন, জানুন, নিশ্চিত হোন।

৭। অর্থপূর্ণ কথা বলুন
আপনি যদি মানুষকে সুযোগ না দেন আপনাকে বোঝার তাহলে ঘনিষ্ঠতা কখনোই বাড়বে না। তাই যখনই কথা বলবেন স্পষ্ট, অর্থবহ কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনাদের উভয়েরই পরস্পরকে বুঝতে সুবিধা হবে।

৮। আপনারও ভুল থাকতে পারে
যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে, বাক-বিতন্ডা, ভুল বোঝাবূঝির ক্ষেত্রে মনে রাখবেন ভুল আপনারও থাকতে পারে। তাই একতরফা বিচার করবেন না। সময় নিন।

৯। সম্মান দিন
আপনার সম্পর্কগুলো একটা সম্মান প্রত্যাশা করে আপনার কাছ থেকে। আপনার আবেগকে কেউ অস্বীকার করলে আপনি যেমন অপমানিত বোধ করেন তেমনি অন্যারেও বোধ করবে। তাই খেয়াল করুন। সিদ্ধান্তের মর্যাদা দিন। মতামতের গুরুত্ব দিন।

১০। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন
এতকিছুর পরও যদি জটিলতাগুলো আপনি সামলে উঠতে না পারেন তাহলে মনোরোগ চিকিৎসকের সাহায্য নিন। ২ পক্ষ যার সমাধান করতে পারে না, ৩য় পক্ষ অনেকসময় সেগুলো সমাধান করে দেয়।

জটিলতা, ভুল বোঝাবুঝি থাকবেই। সব সম্পর্কেই থাকে। এগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং কৌশলী হোন। সমাধান করুন। আপনার মূল্যাবান আবেগ অন্যকেও প্রভাবিত করবে এবং সময়টাকেও ঝলমলে করে তুলবে।



মন্তব্য চালু নেই