১০ বছরের মেয়ের বিয়ে থামিয়ে দিল পুলিশ

হত্যার কারণে দুই পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিরোধ মিটানোর জন্য পাকিস্তানে ১০ বছরের এক মেয়েকে ১৪ বছরের এক বালকের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। দেশটির পুলিশের বরাতে শুক্রবার বিবিসি দিয়েছে এ সংবাদ।

১০ বছর বয়সী ওই কনের বড় ভাইয়ের উপর তার স্ত্রী’কে হত্যার অভিযোগ উঠলে এ সিদ্ধান্ত দেন গ্রামের মুরব্বিরা।

বিবিসির স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, অপরাধের কারণে দুই পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিরোধ মিটানোর জন্য নিকটাত্মীদের মধ্যে ‘ভানি’ বিয়ে বেআইনী হলেও পাকিস্তানে এখনো এ বিষেয়র প্রচলন রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় তারা গ্রামের চারজন মুরব্বিকে গ্রেফতার করেছেন।

শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্চাবের রাহিমায়ার খান জেলায় এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ গিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করে দেয়।

পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী ইয়াসিন বলেছেন, তারা এখনও সন্দেহভাজন ২০ জনকে খুঁজছেন।

ওই মেয়ের বড় ভাইয়ের স্ত্রী’র সাথে অন্য কোনো পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহের ভিত্তিতে স্ত্রী’কে হত্যা করেন তিনি। হত্যার অভিযোগে এখন জেলে রয়েছেন তিনি।

তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রামের মুরব্বিরা মিলে যা কিনা পঞ্চায়েত নামে পরিচিত ঘোষণা দিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন। পঞ্চায়েত সিদ্ধান্ত দেয় ওই অভিযুক্ত হত্যাকারীর বোনের সাথে নিহতের পরিবারের এক আত্মীয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর ওই ১৪ বছর বয়সী বালকের সাথে বিয়ে ঠিক করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী ইয়াসিনের মতে ওই দুই পরিবারই হিন্দু ধর্মের।



মন্তব্য চালু নেই