১০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে বিপদ সীমার উপরে মেঘনার পানি

উজান নেমে থেকে আসা পানির ঢল ও পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে গতকাল বিকাল থেকে ভোলায় মেঘনার পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে জেলার অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পানির চাপে ভোলা সদরের শিবপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকার পুরাতন রিং বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। জোয়ারের পানিতে বসত ঘর রাস্তাঘাট, স্কুল, পুকুর, ফসলের ক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে যাওয়ায় পানি বন্ধি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের কালাতীর্তি, কালাসুরা, হেতমারহাট, রামদাসপুর, পূর্ব ইলিশা, মাঝের চর, দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর, সৈয়দপুর, মেদুয়া, মদনপুর, নেয়ামতপুর, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা, তজুমদ্দিনের চর জহির উদ্দিন, মলংচড়া, মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া, দক্ষিণ সাকুচিয়া, হাজিহাট, মনপুরা, লালমোহন উপজেলার চর কচুয়াখালী, লর্ডহাডিঞ্জ ও চরফ্যাশন উপজেলার কুকরী মুকরী, ঢালচর, জাহানপুর, মাদ্রাজ, নজরুল নগর, চর পাতিলা ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ বাঁচতে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বাধের ভেতর ও বাইরের এলাকাগুলোতে পানি ঢুকে বিস্তীর্ন জনপদ প্লাবিত হওয়ায় পানিতে মৎস্যঘাট ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। নষ্ট হয়েছে ফসলের জমি। গৃহপালিত হাস-মুরগি ভেসে যাওয়ায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম জানান, মেঘনার পানি বিপদ সীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গত ১০ বছরে এ ধরনের উচ্চতায় প্রবাহিত হয়নি।

এদিকে, পানি বৃদ্ধি ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে জেলার ২৫০ কিলোমিটার বাধ। এতে অধিক ঝূকির মধ্যে রয়েছে ১১৯ কিলোমিটার। এসব পয়েন্টে দিয়ে যে কোন সময় ধ্বসে যাওয়ার আশংকা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।



মন্তব্য চালু নেই