১২০ কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত জাপার সাংসদ

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১২০ কোটি ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে জাতীয় পার্টি নেতা ও নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কিমশন (দুদক)।

ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার যোগসাজসে এ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই সাংসদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর বংশাল থানায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে গত রোববার একই ব্যাংক থেকে প্রায় সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই মামলাতেও ওই সাংসদসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছিল। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- নীলফামারী- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য এবং মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত চৌধুরী, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ফাস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বংশাল শাখার প্রাক্তন শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, একই ব্যাংকের চাকুরিচ্যুত অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ফাস্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার মিসেসে শিরিন নিজামী, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ বাউল এবং সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বর্তমানে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আসজাদুর রহমান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা হতে মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ২৯টি এলসি খোলে। পরে এসব এলসির বিপরীতে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যবাবদ ব্যাংকের ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২৩১ টাকা উত্তোলন করে। যা পরবর্তীতে সুদাসলে ১২০ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৮৯ টাকা হয়। পরে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে উত্তোলনকৃত এসব টাকা আত্মসাত করে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে রোববার করা মামলার আসামি হিসেবে মামলার পরপরই এসব আসামির মধ্যে ওই সাংসদ ও ২ কর্মকর্তা ছাড়া বাকি ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।



মন্তব্য চালু নেই