১৩২টি জঙ্গি ও মৌলবাদী গ্রুপ বাংলাদেশে!!

১৩২টি জঙ্গি ও মৌলবাদী গ্রুপ বাংলাদেশে। ২০১৩ সালের পর থেকেই এদেশের জঙ্গি গ্রুপগুলো আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি ইতিমধ্যে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। জেগে উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিতরা। এ ছাড়া জঙ্গিদের সবাইকে একক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার একটি প্রচেষ্টাও চালাচ্ছে জেএমবি ও এবিটি।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। বিগত চার দশকে পুঞ্জীভূত নিট মুনাফার পরিমাণ হবে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা।
দেশে ২৩১টি বেসরকারি সংস্থাসহ (এনজিও) ট্রাস্ট-ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মৌলবাদের অর্থনীতি ধারণার প্রবর্তক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের প্রকাশিতব্য গবেষণা গ্রন্থ ‘বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি ও জঙ্গিবাদ : মর্মার্থ ও করণীয়’-এ তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি প্রকাশিত বইটি চলতি মাসের শেষার্ধে প্রকাশ হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোর বৈশিষ্ট্য ও বিকাশকাল বিশ্লেষণ ও গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য সমন্বয় করে ড. আবুল বারকাত বলেছেন, ১৯৯২ সালের ৩০ এপ্রিল হুজি-বি’র আনুষ্ঠানিক গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদী জিহাদের প্রথম পর্ব বা ‘দাওয়া’ স্তরের শুরু। অতিক্রম করেছে দ্বিতীয় স্তর ‘ইদাদ’। এখন তাদের অবস্থান জিহাদের তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের মধ্যবর্তী কোনো পর্যায়ে অর্থাৎ ‘রিবাত’ ও ‘কিলাল’-এর মাঝে কোনো একপর্যায়ে। তবে সব কিছু বিচার-বিশ্লেষণে আমি মনে করি, তাদের অবস্থান জিহাদি সর্বশেষ পর্যায় ‘কিলাল’-এর কাছাকাছি অর্থাৎ তারা ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সশস্ত্র সম্মুখযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এ পরিস্থিতি মারাত্মক ও মহাবিপর্যয়কর।

ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনে ১৯৭০-৮০-র দশকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক অর্থ সরবরাহ পেয়েছে; এসব অর্থ-সম্পদ তারা সংশ্লিষ্ট আর্থ-রাজনৈতিক মডেল গঠনে বিনিয়োগ করেছে; অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান উচ্চ মুনাফা করছে; আর এ মুনাফার একাংশ তারা ব্যয় করছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে, একাংশ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রসারে, আর (কখনো কখনো) একাংশ নতুন খাত-প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে।

গবেষণার তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ মুনাফার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ৬৬৫ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি); দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮.৮ শতাংশ ৪৬৪ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে; বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২৬৬ কোটি টাকা আসে ১০.৮ শতাংশ; ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০.৪ শতাংশ ২৫৬ কোটি টাকা; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসে ৯.২ শতাংশ ২২৬ কোটি টাকা; রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ৮.৫ শতাংশ ২০৯ কোটি টাকা, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে ৭.৮ শতাংশ ১৯৩ কোটি টাকা, আর রিকশা, ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি, কার, ট্রাক, বাস, লঞ্চ, স্টিমার, সমুদ্রগামী জাহাজ, উড়োজাহাজের মতো পরিবহন-যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি টাকা। বিগত চল্লিশ বছরে (১৯৭৫-২০১৪) মৌলবাদের অর্থনীতি সৃষ্ট ক্রমপুঞ্জীভূত নিট মুনাফার মোট পরিমাণ হবে বর্তমান বাজার মূল্যে কমপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা।

জঙ্গিবাদের কার্যক্রমকে মারাত্মক ও মহাবিপর্যয়কর বলার কারণ ব্যাখ্যা করে ড. আবুল বারকাত বলেন, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলাটিম ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহা-জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেছে এবং আল-কায়েদা থেকে তারা অস্ত্র সরবরাহ, বোমা প্রস্তুত পদ্ধতি, অস্ত্র প্রশিক্ষণ (ম্যানুয়ালসহ), টার্গেট নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে গেরিলা কায়দা-কানুন, অর্থ সরবরাহ, অর্থের উৎস পোক্তকরণ, নিরীহ মুসলমানদের জিহাদের পক্ষে আনার ‘বিজ্ঞানসম্মত’ পথ পদ্ধতি, প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি পাচ্ছে; তারা ইতিমধ্যে শুধু আল-কায়েদাই নয়, অনুরূপ অন্যান্য বিদেশি জঙ্গি সংগঠন-সংস্থা-প্রতিষ্ঠান-ট্রাস্ট-ফাউন্ডেশন-বেসরকারি সংস্থা-মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং ওদের পরামর্শে সক্রিয়; তৃতীয়ত, হিজবুত তাহরীরসহ আরও কিছু নিষিদ্ধ অথবা এখনো নিষিদ্ধ হয়নি এমন সব জঙ্গি সংগঠনও অনুরূপ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলাটিমসহ বেশ কিছু ইসলামী জঙ্গি সংগঠন দেশের সব ইসলামী জঙ্গি সংগঠনসহ ইসলামী জঙ্গিবাদ সমর্থনকারী সব সংগঠন-সংস্থা-প্রতিষ্ঠানকে (মৌলবাদের অর্থনীতির প্রতিষ্ঠানসহ) একক একটি প্লাটফর্মে দাঁড় করানোয় সক্রিয় রয়েছে; এদেশের সব ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার মহাপরিকল্পনা ধারণ করে অর্থাৎ ওদের সবাই বিশ্বাস করে যে, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই; ওরা যখন যেভাবে যেসব বর্বরতম নৃশংস পথ-পদ্ধতি অবলম্বনে মুক্তচিন্তার মানুষ খুন-হত্যা-জখম করছে, অর্থনীতির প্রাণ সংযোগসমূহ বিনষ্ট করে অর্থনীতিকে বিকল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, প্রশাসন-আদালত-বিমান প্রতিষ্ঠান-দেশজ/সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান (প্রাতিষ্ঠানিক উৎসব) ও ব্যক্তি হত্যায় উদ্যত এসবই তো যথেষ্টমাত্রায় প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিত্ব বিকাশ স্তরের মানদণ্ডের প্রাথমিক কোনো পর্যায়ে অবস্থান করছে না।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ড. বারকাত বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেছেন। এগুলো হলো— মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করে শাস্তি কার্যকর করা (সম্ভব হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে)। জঙ্গিদের অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে সরকারের যা কিছু জানা আছে তা অতি দ্রুত গণমাধ্যমে প্রকাশ-প্রচার করা। জঙ্গি অর্থায়নের উৎসমুখ বন্ধ করা। মৌলবাদের অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট (শিল্প, সংস্কৃতি ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশনসহ) প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তৃতীয়-পক্ষীয় অডিটের মাধ্যমে জামায়াত-জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জঙ্গিদের সংশ্লিষ্ট সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা। জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী গোয়েন্দা নজরদারি সিস্টেম অনেক বেশি তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর ও দ্রুত ফলপ্রদ ও কার্যকর করার জন্য সমন্বিত কার্যক্রম জোরদার করা। সরকারের জঙ্গি দমন ও গ্রেফতার জঙ্গিদের মধ্যে জঙ্গিবিরোধী সচেতনতা-সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি পরিচালন করা। জঙ্গিদের অস্ত্রের উৎসমুখ বন্ধ করা এবং একই সঙ্গে অস্ত্র উদ্ধারে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যেই যারা জঙ্গিত্ব-প্রমোটর তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকার থেকে তাদের বহিষ্কার করা। ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করা।

জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় গণসচেতনার ওপর জোর দিয়েছেন ড. বারকাত। তিনি বলেন, গণসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে সব ধরনের পথ-পদ্ধতি-মাধ্যম ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে সঙ্গত কারণে জুমার নামাজ হয় এমন মসজিদে জুমার খুতবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪০টি জামে-মসজিদে গড়ে প্রতি সপ্তাহে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৬৪ লাখ মুসল্লি, যারা আবার বাড়িতে ফিরে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

যত জঙ্গি গ্রুপ ও সমর্থনকারী সংস্থা : বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অথবা জঙ্গিবাদ সমর্থনকারী ইসলামী সংস্থাগুলো হলো— (সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ও কালো তালিকাভুক্তসহ) আফগান পরিষদ, আহলে হাদিস আন্দোলন, আহলে হাদিস যুব সংঘ (এএইচজেএস), আহলে হাদিস তবলিগা ইসলাম, আহসাব বাহিনী (আত্মঘাতী সুইসাইড গ্রুপ), আল হারামাইয়েন (এনজিও), আল হারাত আল ইসলামিয়া, আল ইসলাম মারর্টারস ব্রিগেড, আল ইসলামী সংঘতি পরিষদ, আল জাজিরা, আল জিহাদ বাংলাদেশ, আল খিদমত, আল কুরত আল ইসলামী মারর্টারস, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল মুজাহিদ, আল কায়দা, আল সাঈদ মুজাহিদ বাহিনী, আল তানজীব আল উম্মাহ, আল্লার দল (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), আল্লার দল ব্রিগেড (আত্মঘাতী দল), আল ইয়াম্মা পরিষদ, আমানাতুল ফারকান আল খাইরিয়া, আমিরাত-ই-দিন, আমরা ঢাকাবাসী, আনজুমানে তালামজিয়া ইসলামিয়া, আনসার-আল-ইসলাম, আনসারুল্লাহ মুসলামিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), আরাকান আর্মি (্এ এ), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (এএলপি), আরাকান লিবারেশন পার্টি, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, আরাকান পিপুলস আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা ফোর্স, আরাকান রোহিঙ্গা ইসলামিক ফ্রন্ট, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এআরএনও), ইউনাইটেড স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব আরকান মুভমেন্ট, ইবতেদাদুল-আল মুসলিমা, ইকতেদুল তালাহ-আল মুসলেমিন, ইকতেদুল তুলাহ-আল-মুসলেমিন (আইটিএম), ইন্টারন্যাশনাল খাতমে নব্যুয়ত মুভমেন্ট, ইসলাহুল মুসলেমিন, ইসলামী বিপ্লবী পরিষদ, ইসলামী জিহাদ গ্রুপ, ইসলামী লিবারেশন টাইগার অব বাংলাদেশ (আইএলটিবি), ইসলামী প্রচার মিডিয়া, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ইসলামী সমাজ (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (সারকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, ইয়ং মুসলিম, এবতেদাতুল আল মুসলামিন, এহসাব বাহিনী, ওয়ারেট ইসলামিক ফ্রন্ট, ওয়ার্ড ইসলামিক ফ্রন্ট ফর জিহাদ, ওলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যানাত (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), কালেমায়ে-জামাত, কালেমা-ই-দাওয়াত (অধ্যাপক আবদুল মজিদ এ দলের প্রধান), কতল বাহিনী (আত্মঘাতী গ্রুপ), খাতেমী নব্যুয়াত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশ (কেএনএপিবি), খাতেমী নব্যুয়াত কমিটি বাংলাদেশ, খিদমত-ই-ইসলাম, খিলাফত মজলিশ, খিতল-ফি-সাবিলিল্লাহ, খিলাফত-ই- হুক্মত, ছাত্র জামায়েত, জাদিদ-আল-কায়েদ, জাগ্রত মুসলিম বাংলা, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), জামাত-এশ-সাদাত, জামায়াত-উল-ইসলাম মুজাহিদ, জামা’আতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), জামাত-ই-মুদারাসিন বাংলাদেশ, জামাত-ই-তুলবা, জামাত-ই-ইয়াহিয়া, জামাত-উল-ফালিয়া, জামাতুল ইসলাম মুজাহিদ, জামাতে আহলে হাদিস, জামেয়া মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া, জামিয়াতি ইসলামী সলিডারিটি ফ্রন্ট, জামিয়াতুল ইয়াহিয়া উত তুরাজ, জঙ্গি হিকমত, জয়শে-মুস্তাফা, জয়শে-মোহাম্মদ, জামাতুল-আল-শাদাত, ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আরাকান, ন্যাশনাল ইউনাইটেড পার্টি অব আরকান (এনইউপিএ), নিজামায়ে ইসলামী পার্টি, ফার ইস্ট ইসলামী, তা আমির-উল-দীন বাংলাদেশ (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), তাহফিজ হারমাইন, তামির উদ্দিন বাংলাদেশ, তানজিম বাংলাদেশ, তানজিন-ই-খাতেমি নব্যুয়ত, তাওহিদী জনতা, তাওহিদ ট্রাস্ট (সরকারিভাবে কালো তালিকাভুক্ত), দাওয়াত-ই-ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলাম রক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ জামায়াত-উল-তালাবা-ই-আরাবিয়া, বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী দল, বিশ্ব ইসলামী ফ্রন্ট, মজলিশ ই তাফিজা খাতেমি নব্যুয়ত, মুজাহিদ অব বাংলাদেশ, মুজাহিদী তোয়াবা, মুসলিম লিবারেশন ফ্রন্ট অব বার্মা, মুসলিম মিল্লাত শরিয়াহ কাউন্সিল, মুসলিম মুজাহিদীন বাংলাদেশ (্এমএমবি), মুসলিম রক্ষা মুজহাদিল, রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেস ফোর্স, রোহিঙ্গা ইসলামী ফ্রন্ট, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, রিভাইভাল অব ইসলামী হেরিটেজ (এনজিও), লিবারেশন মিয়ানমার ফোর্স, লুজমা মককা আল খায়েরা, শাহাদাত-ই-আল হিকমা (২০০৩ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), শাহাদাত-ই-নব্যুয়াত, শহীদ নাসিরুল্লাহ খান আরাফাত বিগ্রেড (আত্মঘাতী গ্রুপ), সত্যবাদ, সাহাবা সৈনিক, হরকত-ই-ইসলাম আল জিহাদ, হরকাত-উল জিহাদ-আল-ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি) (২০০৫ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), হায়েতুল ইগাসা, হেফাজতে খাতেমী নব্যুয়ত, হিজব-উত-তাহিরির (২০০৯ সালে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত), হিজবা আবু ওমর, হিজবুল মাহাদী, হিজবুল্লাহ আদেলী বাংলাদেশ, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, হিজবুত-তাওহিদ ও হিকমত-উল-জিহাদ। সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই