১৪ দলীয় জোট আরো বড় হবে

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আরো সম্প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছে জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় তিনি এ কথা জানান। আগামী ১৯ জুন রোববার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৪ দলের নেতৃত্বে সারা দেশে সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে এই যৌথসভা করা হয়।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘১৪ দল আরো সম্প্রসারিত হবে। ঐক্যও সম্প্রসারিত হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে অশুভ শক্তি অনৈক্যের ফাটল দিয়ে ঢুকে আমাদের ছুরিকাহত করবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জাসদ নিয়ে দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। নাসিম বলেন, ‘১৪ দলের মূলনেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৪ দলের ঐক্যের প্রতীক। তার অনুপ্রেরণায় ১৪ দল গঠিত হয়েছে। ১৪ দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আদর্শিক জোট। শুধু ক্ষমতা ভাগাভাগি, নির্বাচনের জন্য নয়— ঐক্যবদ্ধভাবে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ১৪ দল গঠিত হয়েছে। ১৪ দল আছে, থাকবে। যত দিন আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হয়, তত দিন থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যান। প্রয়োজনে ১৪ দল আরো সম্প্রসারিত হবে, ঐক্যও সম্প্রসারিত হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে ওই অশুভ শক্তি অনৈক্যের ফাটল দিয়ে ঢুকে আমাদের ছুরিকাহত করবে। ৭৫ সালের ভুলে গেলে চলবে না। এটা মনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞানদান করার জন্য নানা কর্মশালা করা হয়। হয়তো সেই প্রেক্ষাপটে অতীতের একটি ইতিহাস সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফ সাহেব একটা বলেছেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমাদের ১৪ দলের মধ্যে কোনো অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ৩১ দলীয় বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ)। তারা ১৪ দলের সামনের কর্মসূচিগুলোতে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে যৌথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই