১৯০ দিন না খেয়ে আছেন ৮৩ বছর বয়সী ভারতীয় শিখ

`সুবিচার’ কায়েম করতে অনশন করছেন সুরাত সিং খালসা নামের এক শিখ। আর এজন্য তিনি না খেয়ে আছেন ১৯০ দিন! ৮৩ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের দাবি, দেশটির বিভিন্ন কারাগারে থাকা শিখ রাজনৈতিক বন্দী যারা এরইমধ্যে সাজা পূর্ণ করেছেন যেন তাদের মুক্তি দেয়া হয়।

তবে সাজা শেষ হওয়া এই আসামিদের মুক্তির দাবি যৌক্তিক মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা। তাই তাকে জোর করে ভর্তি করানো হয়েছে একটি হাসপাতালে এবং অনেকটা জোর করেই তাকে খাওয়ানো হচ্ছে। তারপরও নিজের দাবিতেই অনড় এই শিখ। তার দাবি শিখ সম্প্রদায়ের অন্তত ৪৩ জন রাজনৈতিক বন্দীদের কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে কিন্তু তাদের এখনো বন্দীশালায় রাখা হয়েছে। তাদের মুক্তির দাবিতেই অনশন করছেন তিনি।

কিন্তু প্রক্রিয়াটি এতটা সহজ নয় বলেই জানালেন পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিচালক সুমেধ সিং। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সুরাত সিংয়ের দাবিকৃত ৮২ জনের মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ওপর কোর্টের রায় এখনো বহাল আছে আর কিছু আসামি অন্য রাজ্যে বন্দী বলে সেটা তার আওতার বাইরে।

তবে পিপল ইউনিয়ন সিভিল লিবার্টিস এর আইনজীবী অর্জুন শেওরান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে পাঞ্জাব পুলিশের বক্তব্য সঠিক নয় এবং এক্ষেত্রে পুনরায় আবেদনের সুযোগ রয়েছে। সারাদেশের ২০০ জন শিখ বন্দীর ৭০ থেকে ৭৫ জন ইতোমধ্যে ১৫-২০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।

সুরাত সিং এর দাবি যৌক্তিক হোক বা অযৌক্তিক, এর কারণে অবশ্য তার জীবনে দুর্ভোগই নেমে এসেছে। অনশনের প্রথম তিন সপ্তাহ তাকে কোনো পাত্তাই দেয়নি সরকার। কিন্তু ৮ই ফেব্রুয়ারি তাকে জোর করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। এবং সেখানে খুবই অবৈজ্ঞানিক উপায়ে তার নাকে পাইপের মাধ্যমে খাবার প্রবেশ করানো হয়।

দেশটির সবচেয়ে বড় নাগরিক অধিকার সংস্থা পিইউসিএল জানায়, যদি অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকে, তার উপরই যদি নির্যাতন করা হচ্ছে। অথচ সরকার বলছে তার আন্দোলন গণতান্ত্রিক উপায়ে হচ্ছে না সুরাত সিংয়ের ছেলে রবীন্দ্রজিৎ সিং যিনি একজন মার্কিন নাগরিক বর্তমানে তারা বাবার খেয়াল রাখছেন। ২৭ এপ্রিল তার বাবাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর রবীন্দ্র জানান, তারা বাবার উপর অত্যাচার করা হয়েছে এবং আন্দোলন থামানোর জন্য চাপপ্রয়োগ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই