১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

বিদেশি অর্থ স্থানান্তরের ফিলিপিনো কোম্পানি ফিলরেম (PhilRem Service Corporation) তাদের ভুল স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের যে ৮১ মিলিয়ন ডলার তারা স্থানান্তর করেছিল তার লভ্যাংশ হিসেবে ১০.১৭ মিলিয়ন পেসো’র (ফিলিপিনো মুদ্রা) বা প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার টাকার একটি চেক তারা বাংলাদেশকে দেবে বলে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ফিলিপাইন সিনেটের ‘ব্লু রিবন’ কমিটির শুনানিতে এ কথা বলেন ফিলরেমের প্রেসিডেন্ট সালুদ বতিস্তা।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪ হাজার ৬৫৪ পেসো ফেরত পাঠাবো। এটা শুধু আমাদের ক্ষমা প্রার্থনার চিহ্ন স্বরূপই নয়, একটি ফিলিপিনো কোম্পানির পক্ষ থেকে এটা ন্যায়বিচার প্রত্যাশারও প্রতীক।

তিনি জানান, এই অর্থটা বাংলাদেশের চুরি যাওয়া টাকা স্থানান্তরে ফিলরেমার লভ্যাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যতো দ্রুত গ্রাহকের নাম জানানো হবে তখনই আমরা এটা পাঠিয়ে দেব।

এর আগে গত ১৫ মার্চ সিনেটের শুনানিতে বতিস্তা দাবি করেন, রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোস দেগুইতো তাকে এই ডলার পেসোতে রূপান্তরের নির্দেশ দেন। তার নির্দেশেই এ টাকা একটি নিবন্ধিত ক্যাসিনো অপারেটরের কাছে পাঠানো হয়।

দেগুইতো তাকে আরো ৬০০ মিলিয়ন পেসো এবং ১০ মিলিয়ন ডলার ওয়েইকাং সু জনৈক ব্যক্তির নামে পাঠাতে বলেন।

বতিস্তা শুনানিতে বলেন, প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি যে এই টাকাটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন ডলারেরই (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) একটা অংশ।

প্রসঙ্গত, এদিনের শুনানির সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত রিচার্দ গোমেজ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র : র‌্যাপলার ডটকম



মন্তব্য চালু নেই