‘২০১৯ সালেও জনগণ আ.লীগকে ভোট দেবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের মানুষ ২০০৮ ও ২০১৪ সালে যেভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশ শাসনের সুযোগ দিয়েছে, আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ঠিক সেভাবেই আ.লীগকে নির্বাচিত করবে। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার জন্য দলের নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নতুন ওয়ার্কিং কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিক্ষেত্রের পাশে প্রধানমন্ত্রীর নবনির্মিত বাসভবনে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর ১২ টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পথে ফেরি বিভ্রাটের কারণে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় ৬০ জন সদস্য সময়মতো অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দিতে পারেননি।

আওয়ামী লীগ কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়, দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যায় তখনই জামায়াত- বিএনপি চক্রান্তে মেতে ওঠে। আমি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস দমন করে জনগণের মনে শান্তি অব্যাহত রাখার জন্য যে যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার আমরা তা নেবো। সারাদেশের সকল নেতাকর্মী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বতোভাবে প্রতিরোধ করবে। এটাই আমরা চাই। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে এ কাজে সরকারকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
জনগণ ও সরকার সম্মিলিতভাবে সক্রিয় থাকলে এই দেশ থেকে সকল সন্ত্রাস দূর করতে পারবো। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী পালনের জন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সাথে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী ব্যাপকভাবে উদযাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে একমাত্র আওয়ামী লীগই কাজ করবে। আওয়ামী লীগের নীতি, পরিকল্পনা ও সুপারিশের কারণে সাধারণ জনগণ উন্নয়নের সুফল অনুভব করতে পারছে।

প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার ধারাবাহিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দলের অর্থনৈতিক নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়ন করেছে। আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করে দেশের উন্নয়ন করছি। সুপরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রনয়ন ও তা বাস্তবায়নের সুফল জনগণ পাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় ছিলাম বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আফসোস করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি আর ৫টা বছর বেঁচে থাকতেন তাহলে আজ বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম হতো। এই অন্ধকারের মধ্যে বাংলাদেশকে পরতে হতো না। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু এবং ক্ষমতা দখলের রাজনীতি শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে নসাৎ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

এজন্য বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে গড়ে ওঠার কথা ছিল সেই আদর্শে গড়ে ওঠেনি। রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানো হয়েছিল বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য। এরপর দেশে স্বাধীনতার পক্ষের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করে।

শেথ হাসিনা এরপর সভার মুলতবি ঘোষণা করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়া দেন।



মন্তব্য চালু নেই