২০৭ বলে খেলে ২৩ রান

শিরোনাম দেখে সবার হয়তো বাংলাদেশের এক সময়ের ওপেনার জাবেদ ওমরের কথা মনে পড়ছে। কারণ জাবেদ তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের একটি ইনিংসে ওপিনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলেছিলেন।

সেই ম্যাচে তিনি ১৫১ বল মোকাবেলা করে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। অর্থ্যাৎ তিনি একাই খেলেছেন ২৫.১ ওভার। তবে এবার জাবেদ ওমরকেউ ছাড়িয়ে গেলেন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের একজন হাশিম আমলা। জাবেদ ওমর ওয়ানডে ম্যাচে ১৫১ বল মোকাবেলা করলেও আমলা ভারতের বিপক্ষে চলতি টেস্টে ২০৭ বল মোকাবেলা করে করেছেন মাত্র ২৩ রান। এক সময় ১১৩ বল খেলে তাঁর রান ছিল ৬! পরে একটু ‘হাত খুলেছেন’।

দিন শেষে ২০৭ বলে ২৩ রানে অপরাজিত। এ সময়ের সবচেয়ে মারকুটে ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সও ৯১ বলে অপরাজিত ১১ রানে। ৭২ ওভারে ২ উইকেটে ঠিক ৭২ রানে দিন চতুর্থ দিন শেষ করা দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের লক্ষ্যটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে।

৮৯ বলে এসে প্রথম চার মেরেছেন ডি ভিলিয়ার্স, সময়ের প্রয়োজনে তাঁর রূপ পুরো বদলে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সাক্ষী ২০১২ সালের অ্যাডিলেড কিংবা গত বছরের কেপটাউন টেস্ট। কেপটাউনে ২২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটায় তবু ৬টি চার মেরেছেন, ২০১২ সালে অ্যাডিলেডে ২২০ বলে খেলা ৩৩ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল না একটিও।

দুবারই শেষ ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিল তাঁর দল। এর মধ্যে কেপটাউনে ব্যর্থ হলেও সফল হয়েছিল অ্যাডিলেডে। সেবার অবশ্য প্রোটিয়াদের পার করাতে হয়েছিল ১৪৮ ওভার। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কাল তো পুরো দিনটা পরেই রইল। শুরুটা আমলাই করেছিলেন। প্রথম রানের খাতাই খুলেছিলেন ৪৬তম বলে এসে। সেটিও ঠিক ‘ইচ্ছাকৃত’ ছিল না।

রবীন্দ্র জাদের বলটা ব্যাক ফুটে ঠেকিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাটের ভেতরের দিকের কোনায় লেগে (ইনসাইড এজ) স্টাম্পের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় দুই রান নিয়েছেন। সেটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১৯তম ওভার! অবশ্য আমলার কৌশল বেশ কাজেও দিচ্ছে।

৪৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনে ডিন এলগার ও বাভুমার উইকেট দুটো হারিয়ে বাকি দিনটা নিরাপদেই পার করেছে প্রোটিয়ারা। দুটো উইকেটই অশ্বিনের। বাকিরা সফল হচ্ছিল না দেখে দুই ওপেনার ধাওয়ান ও বিজয়কে দিয়েও বল করিয়েছেন কোহলি! সিরিজে এই প্রথম কোনো একটি সেশন উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দিল প্রোটিয়ারা।



মন্তব্য চালু নেই