২০ মিনিটেই চোখের পানিতে মাঠ ছাড়লেন রোনালদো

খেলা দু’দেশের মধ্যে নয়, কখনও কখনও দুই দলের দুই তারকার মধ্যেও হয়ে থাকে। কখনও কোনো কোনো তারকার জন্য সেই খেলা হয়ে ওঠে আকর্ষণীয়; কিন্তু যখন প্রতিপক্ষের অসাধু কোনো উদ্দেশ্য কিংবা বাজে কোন ট্যাকলের কারণে সেই বিশেষ তারকা অচিরেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন, তাহলে তখন কী করার থাকে?

ইউরো ফাইনালে ফ্রান্স বনাম পর্তুগালের খেলায় দুই দেশের চেয়েও লড়াইটা ছিল রোনালদো বনাম গ্রিজম্যানের বেশি। দুই দলের দুই সেরা তারকা। দুই তারকার ব্যক্তিগত নৈপূণ্য দেখার জন্যও সবাই অপেক্ষায় ছিল; কিন্তু স্বাগতিক ফ্রান্স একি করলো! চোরাগোপ্তা আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পন্থাই যেন বেছে নিয়েছে তারা।

প্রতিপক্ষ পর্তুগালের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে মেরে কোনমতে বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারলেই যেন ম্যাচ অর্ধেক জেতা হয়ে যাবে তাদের। সেটাই করলো স্বাগতিক ফ্রান্স। তখন সপ্তম মিনিটের খেলা চলছিল। মিডফিল্ড বরারবর বাম উইংয়ে রোনালদো বল পেলেন। সেটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সময়ই পেছনে থেকে এসে সোজা তার হাঁটুতে আঘাত করে বসেন ফ্রান্সের পায়েত।

সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটু ধরে শুয়ে পড়েন রোনালদো। রেফারি খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তখনও বোঝা যায়নি পরিস্থিতি এতটা গুরুতর। পরে বোঝা গেলো, রোনাদোর উঠে না দাঁড়ানোয়। এ সময় খেলা বন্ধ করে হালকা চিকিৎসা দিয়ে আবার মাঠে নামানো হয় রোনালদোকে। কিন্তু খুঁড়িয়েই যাচ্ছিলেন তিনি। বলের টাচ নিতে পারছিলেন না। কারও কাছ থেকে বল কেড়ে নেবেন, সেটাও সম্ভব হচ্ছিল না।

৬ মিনিট পরই মাঠের মধ্যখানে বসে পড়েন রোনালদো। তার চোখে পানি। বোঝাই যাচ্ছিল তিনি আর পারবেন না। মাঠের বাইরে নিয়ে আবার চিকিৎসা করা হলো। আবারও মাঠে নামলেন তিনি। ১৭ মিনিটে দেখা গেলো খোঁড়াচ্ছেন রোনালদো।

২১তম মিনিটে গিয়ে আর পারলেন না। দৌঁড়াতে গিয়েই বসে পড়লেন। হাতে বাধা নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড খুলে ছুঁড়ে মারলেন। বসে পড়েই শিশুর মত ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠলেন। দেশকে অন্তত ম্যচের শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে না পারার দুঃখ তখন তার চোখে জল হয়ে ঝরছিল। শেষে ন্যানির হাতে আর্মব্যান্ড বেধে দিয়ে স্ট্রেচারে করে বের হয়ে গেলেন মাঠ থেকে। পরিবর্তে মাঠে নামলেন রিকার্ডো কোরেশমা।



মন্তব্য চালু নেই