২২ লাখ টাকার ষাঁড় দেখতে তারা মিয়ার বাড়িতে জনস্রোত

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তারা মিয়ার ২২ লাখ টাকার ষাঁড় দেখতে ভিড় বাড়ছেই। প্রতিদিন উৎসুক মানুষ সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তারা মিয়ার বাড়িতে আসছে ষাঁড় দেখতে। আর দেখে বলছেন, এর আগে এত বড় ষাঁড় সাটুরিয়ার কোনো গ্রামে দেখা যায়নি।

জানা যায়, উপজেলার বালিয়াটী গ্রামের তারা মিয়া পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী, শখের বশে ষাঁড় বাছুর পালেন। গেল কোরবানির ঈদেই তার ষাঁড় বাছুরটির ৩ লাখ টাকা দাম উঠে, কাঙ্ক্ষিত দাম না উঠাতে রাগ করে সেটি আবার পালতে থাকেন, তখন থেকেই গড়ে প্রতিদিন ৩০০ টাকার খাবার খাওয়াতে থাকেন, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে, সাধারণ খাবার, কুড়া, ভুষি, ছোলা ও খড় এবং ঘাস খাইয়ে পালেন। এছাড়া প্রতিদিন বিকালে ষাঁড়টিকে ৩০ মিনিট হাঁটাতেন। তখনই মানুষ জড় হয়ে যেত একনজরে ষাঁড়টি দেখতে।
শনিবার তারা মিয়ার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, শতাধিক নারী-পুরুষ ও বাচ্চার ভিড়।

কথা হয় তারা মিয়ার সাথে। তিনি জানান, এ ষাঁড়টি ৩ বছর ৬ মাস ধরে পেলেছেন, ষাঁড়টি ৯ ফুট লম্বা, বেড়ে ৮ ফুট, গোশত হবে ২২ মন। তারা মিয়া ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম এর লালনপালন করেছেন।

তারা মিয়া আরো জানান, গত বছর ৩ লাখ টাকা দাম উঠেছিল, তাই রাগ করে বিক্রি করিনি, এ বছর শুক্রবার পর্যন্ত ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম বলেছেন স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা। এবারও তিনি বলেন, কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে এ বছরও বিক্রি করবেন না, এখন ওজন আছে ২২ মন, প্রয়োজনে ৩৫ মন ওজন করব।
তিনি বলেন, ২২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি, তবে বাড়ি থেকে বিক্রি করতে পারলে দাম কিছু কমাতে পারেন।

স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাকি আছে মাত্র কয়েক দিন, উপজেলার বালিয়াটীর তারা মিয়ার ষাঁড়টির আনুমানিক দাম ১৫ লাখ টাকার বেশি যাবে না, তবে ঢাকার কোনো হাটে নিয়ে গেলে এর বেশি যেতে পারে, কেননা ষাঁড়টি কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই সম্পূর্ণ ঐতিহ্যবাহী ও প্রাকৃতিকভাবে লালনপালন করা হয়েছে। যে সব গরুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ দেয়া হয়, সে গরুকে কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখলে হাঁপিয়ে উঠে, হা করে দম নিতে থাকে, কিন্তু তারা মিয়ার গরুকে কয়েক ঘন্টা দাঁড়া করিয়ে রাখলেও হাঁপিয়ে উঠে না।



মন্তব্য চালু নেই