২৪ রানের লিড নিয়ে অলআউট ইংল্যান্ড

১৪৪ রানে ইংল্যান্ড হারালো অষ্টম উইকেট। বাংলাদেশের লিডের স্বপ্নটা আরও উজ্জ্বল হতে থাকে তখন। অথচ টেল এন্ডারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উল্টো লিড নিলো ইংলিশরা! ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদের নবম উইকেটের কার্যকরী জুটিতে সফরকারীরা বাংলাদেশের ২২০ রান পেরিয়ে নিয়েছে ২৪ রানের লিড। অলআউট হওয়ার আগে ইংলিশরা করেছে ২৪৪ রান।

আশার আলো হয়ে জ্বলে ছিলেন জো রুট। ইংল্যান্ডের ‘শেষ সম্বল’ হিসেবে ব্যাটিং করে অন্তত একটা প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিনি। হাফসেঞ্চু্রিও পূরণ করলেন, যদিও এগোতে পারলেন না বেশি দূর। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে বোকা বনে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন ৫৬ রান করে। এলবিডাব্লিউয়ের বিপরীতে রিভিউও চাইলেন না এই ব্যাটসম্যান! চাইবেন কী করে, বল ব্যাটে না লাগার পর তো নিজেই বুঝে গিয়েছিলেন কত বড় ভুলটা করলেন তিনি। তাই ক্ষুব্ধতার প্রকাশটাও দেখা গেল তার মাঠের অমন অঙ্গভঙ্গিতে। তার উইকেটটি হারানোর পর আবার দাঁড়িয়ে যায় ইংলিশদের টেল এন্ডাররা। নবম উইকেট জুটিতে ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ যোগ করেন ৯৯ রান। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা এই জুটি ভেঙেছেন সেই মেহেদী হাসান মিরাজই। ক্রিস ওকসকে আউট করেন তিনি শুভাগত হোমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে।

অভিষেক টেস্টে আলো ছড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজ উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছেন মিরপুরেও। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকাতেও ৫ উইকেট পেয়েছেন এই স্পিনার। জাফর আনসারিকে শুভাগত হোমের ক্যাচ বানিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেটের ঘর পূরণ করলেন মেহেদী। তাতে আরও চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।

দিনের শুরুতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ইংল্যান্ডকে টেনে উঠানোর চেষ্টা করছিলেন জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো। এই দুজনের জুটিতে ১০০ রানও পার করে ইংল্যান্ড। যদিও এই জুটিকে বেশি দূরে এগোতে দেননি মেহেদী হাসান, এই স্পিনারের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন বেয়ারস্টো (২৪)।

দ্বিতীয় দিনে এক ওভার হতে না হতেই উইকেট উৎসব বাংলাদেশের। মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ১০ রান করা মঈন আলী। ওই ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত বাংলাদেশের। এবার তাইজুল ইসলামের বলে রানের খাতা খোলা আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন বেন স্টোকস। তাতে ইংল্যান্ড হারায় পঞ্চম উইকেট।

এর আগে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল ৫০ রানে। বৃষ্টির কারণে আগেভাগে খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় দিনের খেলা পুরোটা হয়নি। তার আগেই অবশ্য বাংলাদেশি বোলাররা দ্রুত উইকেট তুলে নেয় ইংলিশদের। শুরুটা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। বেন ডাকেটের টেস্ট ক্যারিয়ারকে আরও হতাশায় ডুবিয়ে মাত্র ৭ রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান সাকিব। অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের ভাগ্যও বদলায়নি ঢাকায়। চট্টগ্রাম টেস্টের পর মিরপুরেও কিছু করতে পারেননি তিনি মেহেদী হাসান মিরাজের কারণে। এই অফ স্পিনারের ঘূর্ণি বলেই যে এলবিডাব্লিউ হয়ে কুক আউট হন ১৪ রান করে। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি গ্যারি ব্যালান্সও। ওই মেহেদীর বলেই তিনি ৯ রান করে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিমের গ্ল্যাভসে।

ইংলিশদের বিপর্যয়ের আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২২০ রানে।



মন্তব্য চালু নেই